জানেন কি কীভাবে পালন করতে হয় চাতুর্মাস্য ব্রতের সময়সূচি?

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : চাতুর্মাস্য ব্রতের সময়সূচি:- ২০২৩ সালের ৩ জুলাই থেকে ৩০ আগস্ট (শাক বর্জন)। ১৮ জুলাই থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত পালিত হয় পুরুষোত্তম ব্রত। ৩১ আগস্ট থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর (দই বর্জন)। ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ অক্টোবর (দুধ বর্জন)। ২৮ অক্টোবর থেকে ২৭ নভেম্বর (আমিষ বর্জন যেমন: মাছ, মাংস, ডিম, পেঁয়াজ, রসুন, মাশরুম, মসুর ডাল, কলাই ডাল, মাসকলাই, শিম, বরবটি, বেগুন, পটল এবং বাসিদ্রব্য।)

বছরের টানা ৪টি মাস:- শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিকে এই চতুর্মাস্য ব্রত পালিত হয়। এই সব মাসে যথাক্রমে শাক, দধি, দুধ ও আমিষ আহার বর্জন করার মাধ্যমে চাতুর্মাস্য ব্রত পালন করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রের ধারণা অনুযায়ী, এই সময়ে এগুলো খেলে শরীর রোগাক্রান্ত হয়। এই ব্যাপারে হিন্দু ধর্মগ্রন্থে বলা আছে- চতুয়ো বাষিকান্মাসান যো মাংসং পরিবর্জয়েৎ। চত্বারি ভদ্রাণ্যাপ্নোতি কীর্তিমায়ুর্যশো বলম। (মহাভারতের অনুশাসন পর্ব, অধ্যায় ১০০, শ্লোক ৯৩-এ একথা বলা আছে।)

এই শ্লোকের বঙ্গানুবাদ হল:- যিনি বর্ষাকালে শ্রাবণ প্রভৃতি চারি মাস ( শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন ও কার্তিক মাস) মাংস বর্জন করেন, তিনি কীর্তি, আয়ু, যশ এবং বল- এই চারি প্রকার মঙ্গল লাভ করিয়া থাকেন।। অর্থাৎ কেউ যদি:- ১) শ্রাবণ মাসে আমিষ ত্যাগ করেন, তবে তিনি কীর্তিমান হন। ২) ভাদ্র মাসে আমিষ ত্যাগ করলে তিনি দীর্ঘায়ু হন। ৩) আশ্বিন মাসে আমিষ ত্যাগ করলে তিনি যশবান হন। ৪) কার্তিক মাসে আমিষ ত্যাগ করলে তিনি বলবান হন।

এই সমস্ত রীতিই বৈষ্ণব মত অনুযায়ী পালিত হয়। কারণ, এই চতুর্মাস্য ব্রত বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ভাবনা থেকেই তৈরি। যেখানে বলা হয়েছে, এই চার মাস ভগবান বিষ্ণু যোগনিদ্রায় থাকেন। এই চার মাস হল শ্রাবণ থেকে কার্তিক। এই চার মাসে বৈষ্ণব মত অনুযায়ী, শুভ কাজকর্ম করা নিষিদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *