যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার মেদিনীপুরে , রহস্য ক্রমশ বাড়ছে সুইসাইড নোটেও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ‘আমি তোমাকেই ভালোবাসি। তোমাকে নিয়ে বাঁচার একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম। সেটা মনে হয় এ জীবনে আর সম্পূর্ণ হল না।’ দিন চারেক আগে প্রেমিকার উদ্দেশ্যে এরকমই একটা চিঠি লিখেছিলেন মেদিনীপুর শহরের বছর তিরিশের এক যুবক অভিজিৎ মজুমদার। তারপর থেকে আর তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। পরিবারের লোকজন হন্যে হয়ে নানা প্রান্তে ঘুরলেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। আত্মীয়স্বজন থেকে বন্ধু-বান্ধব কারও কাছেই ছিল না খোঁজ। শেষে বুধবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নির্মীয়মান একটি ফ্ল্যাটের পাশ থেকে অভিজিতের পচাগলা দেহ উদ্ধার হল। তাতেই বাড়ছে রহস্য। খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
মেদিনীপুর শহরের অশোকনগরে থাকতেন অভিজিৎ। মৃত্যুর খবর পেতেই ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সামনে এসেছে সুইসাইড নোটও । তা নিয়েও ঘোলা হচ্ছে জল। এলাকার বাসিন্দা মানিক দাস আবার ঘটনার পিছনে খুনের তত্ত্ব খাড়া করেছেন। তাঁর দাবি, পিছনে হাত রয়েছে অভিজিতের প্রেমিকার। সেই এক বন্ধুকে দিয়ে মেরে ফেলেছে অভিজিৎকে। অভিজিতের সম্পত্তির উপর লোভ থেকেই এই কাজ করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন এমনকি তাঁর পরিবারের সদস্যরাও। মানিকবাবু এও বলেন , “লোকেশনটা বলত না মেয়েটা। শুধু বলত বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। চার তারিখ থেকে ও নিখোঁজ ছিল । ওর খোঁজ শুরু হতেই যোগাযোগ করা হয় মেয়েটার সঙ্গে। তখনই ও চিঠির কথা বলে। মেয়েটাই সম্পত্তির লোভের জন্য ওকে ব্ল্যাকমেল করেছে বলে আমরা মনে করছি। এটা করেছে টাকার জন্যই ।”
সূত্রের খবর, প্রেমিকার বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। দীর্ঘদিন তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি ব্রেকআপ হয় বলে জানা যাচ্ছে। অন্য একটি ছেলের সঙ্গে সেই তরুণীর বন্ধুত্বের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। সে কারণেই অভিজিতের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি বলে মনে করেছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। ইতিমধ্যেই অভিজিতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। খুন নাকি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।