রসুন ছুঁলেই জোর ছ্যাঁকা ! আরও বাড়বে কি দাম? আমজনতার বুক ক্রমশ কাঁপছে চরম আশঙ্কায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কখনও আদা বা পেঁয়াজ , তা না হলে রসুন। রান্না ঘরের এই তিন প্রয়োজনীয় উপাদানের কোনও একটির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এখন যেন এক নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে । রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে যাদের জুড়ি মেলা ভার প্রতিদিন দিন সেই সব উপাদানেরই দাম ক্রমশই বাড়ছে। কখনও আবার একসঙ্গে দু-তিনটি অপরিহার্য্য সেই উপাদানের দাম বেড়ে যায় । এবার কলকাতা সহ রাজ্যের সর্বত্র আকাশ ছুঁয়েছে রসুনের দাম। যার জেরে চরম নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। তবে দাম কমার সম্ভাবনাও রয়েছে নতুন রসুন উঠতে শুরু করায়। এর পাশাপাশি রসুনের কারবারিরা শুনিয়েছেন আতঙ্কের কথাও।
রসুনের দাম হঠাৎ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক হইচই পড়ে গিয়েছে। শিয়ালদার কোলে মার্কেটের এক পাইকরি রসুন ব্যবসায়ী বাদল মণ্ডল বলেন, ‘পুরনো রসুনের দাম কেজি প্রতি ৫০০ টাকা। দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করছি। আমার জীবনে রসুনের এত দাম কখনও দেখিনি। গতবারের বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি হয়েছিল। তাই দাম বেড়েছে। নতুন রসুন বাজারে আসছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমবে।”এই একই কথা আর এক ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ মণ্ডলেরও। তাঁর কথায়, ‘চৈত্র মাসের প্রথম দিকে বৃষ্টি হলে এমন পরিস্থিতি হবে। যার ফলে মাটির নীচে থাকা রসুন পচে যায়। মধ্যপ্রদেশের রসুনের চাহিদা খুব বেশি।”
এদিকে রসুনের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ঘটায় সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়ছে। ক্রেতারা এও জানিয়েছেন, রসুনের এত দাম বেড়েছে, যে তাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। খরচ বেড়ে যাচ্ছে। মাসে বাজারের বাজেট ছাড়িয়ে যাচ্ছে। নতুন রসুন কবে বাজারে আসে দিকে তাকিয়ে আছেন ক্রেতারাও। উল্লেখ্য ,কয়েক মাসে রান্নার আর এক মশলা জিরার দাম বেড়েছিল মাত্রাছাড়া। কেজি ছাড়িয়ে গিয়েছিল আটশো টাকা। এখন অবশ্য দাম কিছুটা কমেছে।
গত কয়েক মাসে পেঁয়াজ, আদা, জিরা, টমেটো , রসুনের দাম বৃদ্ধিতে মাথায় হাত পড়েছে আমজনতার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে বৃষ্টিপাত তথা স্বল্প উৎপাদনের কথা। তার ওপর রয়েছে অত্যাধিক পরিবহণ খরচ। মোটের ওপর বাজারের মূল্যবৃদ্ধির দুশ্চিন্তা কাটার সম্ভাবনা সাধারণত নেই। একটা কমবে তো আকাশ ছোঁয়া হবে আরেকটার দাম। এটাই যেন বর্তমানে এক অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।