রান্নাঘরে ১০ বছরের মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল সবংয়ে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর গেম খেলার নেশা পেয়ে বসেছিল মা- বাবার মোবাইলে। মা- বাবা এমনকি বকাবকিও করেন তা নিয়েও। ঘটনাক্রমে ওই দম্পতি মাঠে কাজ করতে চলে যান মোবাইল নিয়েই।এদিকে বিকালে বাড়ি ফিরে উদবিগ্ন মা-বাবা খোঁজ খবর শুরু করেন তাদের মেয়েকে না দেখে। পরে বাবা-মায়ের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় রান্নাঘরে মেয়েকে ঝুলতে দেখে।মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও। পুলিস জানায় মৃতের নাম মাম্পি খাটুয়া (১০)। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের বীরকোটা গ্রামে।

পুলিস এও জানায়, সবংয়ের বীরকোটা গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণচন্দ্র খাটুয়া ও বিষ্ণুপ্রিয়া খাটুয়া বড় মেয়ে মাম্পি। দম্পতির একটি ছেলেও রয়েছে ৩ বছরের। স্থানীয় সুত্রের খবর, মাম্পী গেম খেলতে পছন্দ করত বাবা- মায়ের মোবাইলে। বাবা-মা প্রায়ই মেয়েকে বকাবকি করতেন এর জন্য। তা নিয়ে বাড়িতে নিত্য অশান্তি চলত। মোবাইল নিয়েই দম্পতি অবশেষে বেরিয়ে যান মাঠে কাজ করতে। এদিকে মাম্পিও খেলতে চলে যায় বাড়ির পাশের মাঠে। বিকেলে চাষে জমি থেকে ফিরে এসে আর মেয়েকে দেখতে পায়নি খাটুয়া দম্পতি। মেয়ের বন্ধুদের কাছে খোঁজ করে জানা যায়, খেলা শেষে সে বিকালে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় রানা ঘরের দরজা খুলে তাঁরা দেখতে পান মেয়ে ঝুলছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায়। তাঁদের চেঁচামেচিতে ছুটে আসে আশপাশের লোকজনও।

এরপর মাম্পিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান নাবালিকার আগেই মৃত্যু হয়েছে। দম্পতির এও দাবি, কেউ মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তাঁরা উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেন। যদিও খুনের কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। পুলিস একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *