রাস্তা ভেসে গেল লিটার লিটার দুধে, তামিলনাড়ু সরকার চরম অস্বস্তিতে চাষিদের এমন পদক্ষেপে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাস্তায় একের পর এক দুধের পাত্র উল্টে দিচ্ছেন দুগ্ধ চাষিরা। সোমবার, তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের উসিলামপট্টি এলাকায় দেখা গেল এমনই দৃশ্য। দুধের দাম বাড়ানোর দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই তামিলনাড়ু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন রাজ্যের দুগ্ধ চাষিরা। এর আগে সালেম এবং ইরোদ জেলাতেও একইভাবে রাস্তায় দুধ ঢেলে দুধের পর্যাপ্ত দাম না পাওয়ার প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছিল তামিলনাড়ুর দুগ্ধ চাষিদের। এদিন মাদুরাইয়েও প্রতিবাদের একই চিত্র দেখা গেল। কিছু দুগ্ধ চাষিকে দেখা গিয়েছে রাস্তায় লিটার লিটার দুধ ফেলে নষ্ট করতে। অন্যরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন তাঁদের গরুদের নিয়ে এসে।

তামিনাড়ুতে দুগ্ধ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে তাদের উৎপাদন কিনে নেয় সরকারি দুগ্ধ সমবায় সমিতি, আভিন। বর্তমানে তারা প্রতি লিটার দুধ ৩৫ টাকা করে কেনে। দুগ্ধ চাষিদের দাবি দুধের দাম লিটার প্রতি অন্তত ৭ টাকা বাড়িয়ে, ৪২ টাকা করতে হবে। দুধের দাম না বাড়ালে আভিনের কাছে তারা আর দুধ বিক্রি করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মাদুরাইয়ের দুগ্ধচাষিরা। নদেগউন্ডারপুদুর কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের সঙ্গে যৌথভাবে জেলার দুগ্ধচাষি ইউনিয়ন লিটার প্রতি দুধের দাম ৫০ টাকা করার দাবি তুলেছে। একইসঙ্গে গবাদি পশুর খাদ্যে সরকারি ভর্তুকি দাবি করেছে তারা। তামিলনাড়ু কৃষক ইউনিয়নের স্থানীয় সভাপতি অরুমুগাসামি জানিয়েছেন, কৃষিজাত পণ্যের দাম অত্যন্ত কম। দুধ উৎপাদনকারী চাষিরা সঠিক দাম পাচ্ছেন না। তাদের জীবিকা ক্রমে কমছে। পুরো চাষি পরিবারের পর এর প্রভাব পড়েছে।

অরুমুগাসামি বলেছেন, যদি সরকার এক সপ্তাহের মধ্যে লিটারে প্রতি দুধের দাম বাড়িয়ে ৫০ টাকা না করে, তাহলে দুধ উৎপাদনকারীরা স্থানীয় স্তরে আভিনের অফিসগুলি ঘেরাও করবে। বর্তমনে, গবাদি পশু পালন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। গরু প্রতি প্রতিদিন ২৫০ টাকা করে খরচ করতে হয়। রাষ্ট্রায়ত্ব সমবায় সংস্থা অ্যাভিন লভ্যাংশ প্রদান এবং দুধ উৎপাদনকারীদের বাড়তি আর্থিক অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন দুগ্ধচাষিরা। দুধ বিক্রি করেও টাকা কাঙ্ক্ষিত অর্থ আসছে না, তাই রাস্তায় দুধ ফেলে প্রতিবাদের রাস্তাতেই হাঁটলেন দুধ চাষিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *