লরি হাইজ্যাক নাগপুর থেকে! মূল পাণ্ডা গ্রেফতার পূর্ব মেদিনীপুরে, গ্রেফতার আরও ২

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ৩০ ডিসেম্বর ২৬ লক্ষ টাকার স্টিলের পাইপ এবং রড ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল নাগপুর থেকে বেঙ্গালুরুর একটি কারখানাতে। সেই মতো নির্ধারিত সময়ে মাল পৌঁছায়নি ২৬ ডিসেম্বর ১২.৫০ মেট্রিকটন মাল নিয়ে নাগপুরের একটি পরিবহন সংস্থার তত্ত্বাবধানে লোড হওয়া একটি লরি রওনা দিলেও। এরপরেই পরিবহন সংস্থার কাছে কারখানা কর্তপক্ষ নালিশ জানায়। এমনকি ওই পরিবহন সংস্থার সন্দেহ হয় লরি চালকের মোবাইল বন্ধ থাকায়। তারা ওই লরির কোনো হদিস না পেয়ে নাগপুর পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এদিকে নিখোঁজ লরির জিপিএস লোকেশন ট্র্যাক করে জানা যায় সেটি রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানা এলাকায়। এরপরে নাগপুর থেকে নন্দকুমার থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পুরো বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি বলা হয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও। পরে জানা যায় ওই লরি ড্রাইভারের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর নন্দীগ্রাম থানার কাণ্ডপসরা এলাকায়। ধৃতের নাম প্রভাত বেরা।

পুলিশ তদন্তে নেমে অবশেষে জানতে পারে পথ বদল করে সেই লরি করে স্টিলের পাইপ এবং রড আনা হয় নরঘাটের একটি লেদ কারখানায় এবং টুকরো টুকরো করে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার মানিকতলা থানা এলাকার একটি গোডাউনে। জানা যায় এই পুরো কাণ্ডে ড্রাইভার প্রভাত বেরার সাথে জড়িত ওই লরির মালিক বাসুদেব মাইতি ও তার পুত্র বিট্টু মাইতিও। আর এখান থেকেই হাইজ্যাকের পরিকল্পনা করা হয়।

এই ঘটনায় পুলিশ নরঘাটের লোহা কাটিং করা লেদ কারখানার মালিক-সহ সন্দেহর তালিকায় থাকা বাকিদেরও জিজ্ঞাবাদ চালায়। এরপর নন্দকুমার থানার পুলিশ গ্রেফতার করে নন্দীগ্রামের ওই মালিকের অপর এক ড্রাইভার জাহাঙ্গির আলি খান এবং কাদের আলি খানকেও। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ গোপনে হানা দিয়ে নন্দীগ্রাম থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে মূল এক অভিযুক্ত বিট্টু মাইতিকে। আজ ধৃতকে তমলুক মহকুমা আদালতে তোলা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *