শবরীমালার দরজা খুলল সাত মাস পরে, মন্দিরে ঢোকার আগে হবে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট, রয়েছে এমনকি একাধিক শর্তাবলীও

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সাত মাস বন্ধ থাকার পরে অবশেষে খুলেছে শবরীমালার দরজা। আয়প্পার মন্দিরে পুণ্যার্থীরা পুজো উপলক্ষ্যে প্রবেশের অনুমতি পাবেন মাত্র পাঁচদিনের জন্যই। তবে কোভিড নিয়মকানুনের গণ্ডিতে বাঁধা মন্দিরে ঢোকা থেকে পুজো দেওয়া, সব কিছুই। মন্দির কর্তৃপক্ষ একদিকে যেমন ভক্তদের বয়স বেঁধে দিয়েছে, তেমনি কড়া নিয়ম মানতে হবে পুজোর আচারেও। এমনকি মন্দিরে ঢোকারও কোনো রকম অনুমতি মিলবে না কোভিড টেস্ট না করলে।

প্রসঙ্গত ,শবরীমালা মন্দির শেষ খুলেছিল গত ১৮ মার্চ। ধর্মীয় জমায়েতের উপর কেরল সরকার সব রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করে ১৯ মার্চ থেকেই। ফলে পাথানামথিট্টা জেলার পাহাড়চূড়ার মন্দিরের দরজা আর খোলেনি। দক্ষিণ ভারতের সমস্ত মন্দির পরিচালনা করে যে ত্রিবাঙ্কুর দেবস্বম বোর্ড তারা জানিয়েছিল, মন্দিরের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য হতে বসেছে সবচেয়ে বেশি ভক্ত সমাগম হয় যে মন্দিরে, কেরলের সেই শবরীমালার দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে। মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তও নিয়েছিল এমনকি অনলাইন পুজোর বন্দোবস্ত করারও ।

এদিকে কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার শবরীমালা মন্দিরও ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আনলক পর্বে একে একে তীর্থস্থানগুলির দরজা খুলে যাওয়ার কারণে। তাছাড়া মন্দিরে বার্ষিক মণ্ডল পুজোও শুরু হয়ে যাবে নভেম্বর থেকেও। তবে কেরল সরকার একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে কোভিড বিধিতে ।প্রতিদিন কতজন ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেন মন্দিরে সে সংখ্যাও বেঁধে দিয়েছে সরকার। মন্দিরে ঢুকতে পারবেন সবচেয়ে বেশি ২৫০ জন। তবে সেক্ষেত্রে চলবে না ঘেঁষাঘেঁষি, ধাক্কাধাক্কি বা মন্দির প্রাঙ্গণে জমায়েত ।ভক্তদের বয়স হতে হবে ১০ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *