শহরবাসীর নাভিশ্বাস অবস্থা সবজি-মাছের লাগামছাড়া দামে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হু হু করে ক্রমশ বাড়ছে পেট্রোপণ্যের দাম। এমনকি পেট্রোল সেঞ্চুরি করে ফেলেছে এই রাজ্যে ও, বাড়ছে এমনকি ডিজেলের দামও। আর সবজি-মাছের বাজার অগ্নিমূল্য এই জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জেরেই । উচ্ছে হোক বা পেঁপে কিংবা পটল, দাম বাড়ছে এমনকি প্রতিটি সবজিরও । এদিকে দাম বেড়েছে এলপিজি গ্যাসেরও। তাই সব মিলিয়ে মধ্যবিত্তর পকেটে টান পড়ছে মাস পয়লাতেই। আর লকডাউনের টানাটানিতেই এক কথায় মাথায় হাত পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের।
এখন ধরা যাক গড়িয়াহাট বাজারের কথা। এই বাজারে গড়ে সব সবজির দাম বেড়েছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়, লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ টাকায়। উচ্ছের দাম ৮০ টাকা/ কেজি। সবজি বিক্রেতারা একরকম স্বীকার করেই নিচ্ছেন, প্রতিটি সবজির দামে গড়ে দশ থেকে কুড়ি টাকা করে বেড়েছে খুচরা বাজারে। তাঁদের মতে , সাইক্লোন ঝড় আছড়ে পড়ার পর থেকেই সমস্যাটা তৈরি হয়েছিল। যোগানেও এমনকি ঘাটতি দেখা দিয়েছিল সবজির ক্ষেতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার দরুন। সরাসরি খুচরো বাজারে সবজি নিয়ে আসা দীর্ঘদিন সমস্যাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছিল রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার দারুন। মহাজনরা অনেক বেশি দর হাঁকছিলেন ঘুরপথে বাজারে সবজি পৌঁছে দিতে। সেই ধাক্কা কিছুটা মিটলেও এখন ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী পরিবহণ খরচ। তার আঁচই সবজির দামে এসে লাগছে।
এক বিক্রেতা জানান দিন কয়েকের মধ্যেই লঙ্কার দাম কেজি প্রতি বেড়ে যেতে পারে ৫০ টাকা। অর্থাত্ তখন লঙ্কা কেজি প্রতি অন্তত ১৫০ টাকায় কিনতে হবে । বাড়বে এমনকি অন্যান্য সবজির দামও। পরিবহণ খরচকেই তিনি এই মূল্যবৃদ্ধির একমাত্র কারণ বলে মনে করছেন ।প্রসঙ্গত ডিজেলের দামও মত্স্য ব্যবসায়ীদের চরম বিপাকে ফেলেছে। মেয়াদ ফুরিয়ে গেলেও অনেকেই ইলিশ বা অন্যান্য মাছ ধরতে যেতে পারছেন না গভীর সমুদ্রে। কারণ একটি ট্রিপের জন্য যে পরিমান জ্বালানি খরচ হয়, ছোট মত্স্যজীবীদের সংসার চলবে না সেই ঝুঁকি নেওয়ার পর মাছ না পাওয়া গেলে। সেই কারণেই বসে রয়েছে বহু ট্রলারই। বাজারে এখনও দেখা নেই রূপোলি শস্যের।