শহরের বড় অংশে পানীয় জল দূষিত ডিভিসির ছাড়া জলে , চরম আতঙ্কের মধ্যে বাসিন্দারা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : শহরের একাংশে প্রবল হইচই পানীয় জল নিয়ে৷ উত্তর ও উত্তর পূর্ব কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় জলের কল খুলতেই ঘোলা জল বেরিয়ে আসছে রবিবার সকাল থেকেই। এদিকে এলাকার বাসিন্দারাও চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন হঠাৎ করে জলের রং বদলে যাওয়ায়। কলকাতা পৌরনিগমের সূত্রে খবর, আরও জানা গেছে ডিভিসির ছাড়া ঘোলা জল ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে কলকাতা ও হুগলির বেশ কিছু এলাকায় । শহরের একটা বড় অংশে ইতিমধ্যেই পানীয় জলের চরম সংকট তৈরি হয়েছে এই বিপত্তির ফলে ।
এই ঘোলা জলের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এমনকি কলকাতার কাশিপুর থেকে শুরু করে বেলগাছিয়া, উল্টোডাঙা, শ্যামবাজার, মানিকতলা ও বেলেঘাটার বিস্তীর্ণ এলাকা-সহ ধর্মতলা, চৌরঙ্গী, এন্টালি, বউবাজার ও মধ্য কলকাতা জুড়ে । এর পাশাপাশি হুগলির কোন্নগর, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চাঁপদানি, চন্দননগর, চুঁচুড়া ও বাঁশবেড়িয়ার পাইপলাইন-এ এই ঘোলা জল ঢুকে পড়ায় সেখানেও চরম বিপত্তি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘোলা জল পান করতে নিষেধ করেছে হুগলি পৌরসভা। তবে কলকাতা পৌরনিগম এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও নির্দেশ জারি করেনি কলকাতায় ।
রবিবার সন্ধ্যা থেকেই ইতিমধ্যেই উত্তর ও মধ্য কলকাতার বাসিন্দারা জল কিনে খেতে শুরু করেছেন জল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায়। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম এমনকি জানিয়েছেন, ডিভিসির ছাড়া জল প্রবেশ করেছে হুগলি ও কলকাতা পৌরনিগমের একাধিক এলাকায়। যার ফলে সাধারণ মানুষ বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই পানীয় জল নিয়ে। এমনকি ডিভিসির জলের ধাক্কায় বিকল হয়ে পড়েছে কলকাতা পৌরনিগমের বেশ কয়েকটি পাম্পও। পৌরনিগমের মুখ্য প্রশাসক আরও জানান, আপাতত শহরে কম সরবরাহ করা হচ্ছে পলতা থেকে পাঠানো জল। ইতিমধ্যেই জলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ।কোনও সমস্যা নেই টালা থেকে পাঠানো জল খাওয়ার ক্ষেত্রে। তবে বোরো অফিসার সে ক্ষেত্রে আবেদন জানিয়েছেন ১৩ , ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোলা পানীয় জল ব্যবহারে সর্তকতা নেওয়ার জন্য।