শহর কলকাতা চরম আশঙ্কায় অ্যাডিনোর বাড়বাড়ন্তে, জারি হল পুরসভার নতুন নির্দেশিকা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কলকাতা শহর জুড়ে ক্রমশ আতঙ্ক বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের। এই ভাইরাসটি তার প্রভাব বৃদ্ধি করছে শিশুদের শরীরের। গতকাল রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরের । স্বাস্থ্য মহলের দাবি অ্যাডিনো ষভাইরাস ক্রমশ্য তার চরিত্রে বদল আনছে। যা শিশুদের জন্য আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। এই মতো পরিস্থিতিতে অ্যাডিনো ভাইরাসকে রুখে দিতে পুরকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুরসভা । করোনাভাইরাসের পরে অ্যাডিনোভাইরাস যাতে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেই প্রচেষ্টাই চালানো হচ্ছে বর্তমানে।
যদিও কলকাতা পুরসভার নির্দেশিকায় ‘অ্যাডিনো ভাইরাস’ এই শব্দের কোন উল্লেখ রাখা হয়নি । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে যে ভাইরাল জ্বর শিশুদের কাবু করছে সেই সম্পর্কে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মেডিকেল অফিসার থেকে শুরু করে নার্স, ফার্মাসিস্ট, ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবক ও আশা কর্মীদের মধ্যে দায়িত্ব সঠিকভাবে বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।
- মেডিকেল অফিসারদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ :কলকাতা পৌরসভার তরফ থেকে মেডিকেল অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কোন শিশু যদি ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় তাদের কাছে আসে, তাহলে সর্বপ্রথম অভিভাবকদের কথা ভালোভাবে শুনতে হবে। শিশুকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। যদি তাঁর বাড়িতে চিকিৎসা করা সম্ভব হয় তাহলে সেটাই করতে হবে। পাশাপাশি বাড়িতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সে বিষয়টি অভিভাবকদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
- নার্সদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা : ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় কোন রকম ত্রুটি রাখা যাবে না। তাঁর শারীরিক অবস্থা কতটা খারাপ সেই বিষয়টি অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝিয়ে দিতে হবে নার্সদেরকে এছাড়াও শিশু শরীরে কী কী সমস্যা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে? কেমন জ্বর থাকছে ? সর্দি-কাশির পরিমাণ, খাবারে অনীহা এই ধরনের সমস্যাগুলো রয়েছে কিনা তা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে । আর যদি পরিস্থিতির গুরুতর মনে হয় তাহলে অবিলম্বে যোগাযোগ করতে হবে মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে।
- ফার্মাসিস্টদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা : কলকাতা পুরসভার নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মেডিকেল অফিসাররা যে প্রেসক্রিপশন দেবেন সেটা অনুযায়ীই ফার্মাসিস্টদের (Pharmacist) ওষুধ দিতে হবে। ওই ওষুধগুলি অভিভাবকটা কখন শিশুদের কীভাবে খাওয়াবেন তা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।