শিশুকন্যাকে খুন হতে হলো মায়ের পরকীয়ায় বাধার জেরে! পিংলা এলাকায় ছড়ালো ব্যাপক চাঞ্চল্য

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মা চরম ব্যাস্ত ফোনে প্রেমিকের সাথে কথা বলতে। সেই মা-ই অবশেষে তার নিজের মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করল প্রেমে অন্ধ হয়ে। ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে অভিযুক্ত মা ও তার প্রেমিককে।এমনকি এই ঘটনায় সমগ্র এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছে।নক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার উত্তরবাড় এলাকায়। জানা গিয়েছে বছর দুয়েকের দিপ্তি জানার মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। খুনে অভিযুক্ত মায়ের নাম পূজা।এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর,তখন স্তনপান করছিল দু’বছরের দীপ্তি নামের মেয়েটি। তখন অবশ্য ফোন করেছিলেন মায়ের প্রেমিক । চরম ব্যস্ত ছিলেন এমনকি প্রেমআলাপেও। এমন সময়ে শিশুটি কামড়ে সজোরে ফেলেছিল তার মায়ের স্তনবৃন্ত। এটা অবশ্য শিশুদের সহজাত প্রবৃত্তি। আর তাতেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া মা তীব্র ব্যথ্যা অনুভব করেছিল। তবে তার পরিবারের লোক তা কল্পনাও করতে পারেনি যে তার পরিনামে সে এতটা নিষ্ঠুরও পর্যন্ত হতে পারে। রাগের বশে শেষ পর্যন্ত মা বালিশ চাপা দিয়ে খুন করল তার নিজের সন্তানকেই।

তবে শুধু এখানেই শেষ নয়, খুনে অভিযুক্ত মা পূজা গল্প সাজিয়ে ফেলে এমনকি নিজের দোষ ধামা চাপা দিতেও।এছাড়াও খুন করার পর কোনও অনুতাপের ছাপ দেখা যায়নি তার মুখেও। বরং সে তুমুল ব্যস্ত ছিল নিজের দোষ ঢাকতেই। এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত পুজা প্রতিবেশীদের বলে, দুপুরে লেপ রোদে দিয়েছিল বাড়ির উঠোনে। মেয়ে খেলছিল সেই লেপের উপরই। তখন সে রান্না করছিল। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে কিছুক্ষণ পরে উঠোনে গিয়ে দেখে, মেয়ে জড়িয়ে রয়েছে লেপের মধ্যেই। বুক ওঠানামা করছে না। নাকের কাছে হাত দিয়ে দেখে শ্বাসপ্রশ্বাস পড়ছে না। এই কথায় সন্দেহ হওয়ায় অবশেষে পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশীরাই।এদিকে পুলিশও বিশ্বাস করেনি এই সাজানো গল্প।পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার এই ঘটনায় শেষমেশ পুলিশ আটক করে অভিযুক্ত মহিলা ও তার প্রেমিককে।

অবশ্য আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুজা পুলিশের কাছে নিজের বয়ানও পরিবর্তন করে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় পুজা জানিয়েছে, শিশুটি তার স্তনবৃন্তে কামড়ে দেয় স্তন্যপান করার সময়। যন্ত্রনায় রেগে গিয়ে সে শিশুটিকেই বালিশ চাপা দিয়ে দেয়। কিন্তু মেয়েটি তখন মারা যাবে সে বুঝতে পারেনি। যদিও পুলিশ এই কথাও বিশ্বাস করেনি।এরপরই তদন্তে প্রতিবেশী দেবাশিস মণ্ডলের নাম উঠে আসে।কর্মসূত্রে আন্দামানে থাকেন পুজার স্বামী দেবাশিস জানা। স্বামীর অনুপস্থিতিতে ওই গৃহবধূ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী দেবাশিস মণ্ডলের সঙ্গে। ফোনেই প্রেমালাপ চলছিল তার সঙ্গে। যার ফলস্বরূপ দু বছরের ছোট্ট শিশুটিকে পড়তে হলো মৃত্যুর মুখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *