সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হাসি ফুটল ক্যানসার আক্রান্ত বাঁকুড়ার বিধানের মুখে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : হাইকোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছিলেন। নিমেষে চোখের সামনে নেমে এসেছিল অন্ধকার। একদিকে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিপুল খরচ, আর অন্যদিকে পরিবারের যাবতীয় দায় দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন বাঁকুড়ার ঘোড়ামৌলি গ্রামের বিধান বাউরি। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি ফিরল বিধান বাউরির পরিবারে। এখন বিধান বাউরি চাইছেন যোগ্য ও অযোগ্য বাছাই করে, দ্রুত অযোগ্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ করা হোক।

পড়াশোনা শেষ করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের পরীক্ষায় পাশ করেন বিধান। ২০১৮ সালে বাঁকুড়ার ঝুঞ্জকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেরানি পদে যোগ দেন ঘোড়ামৌলি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক। চাকরি পাওয়ার পর নিম্ন মধ্যবিত্ত বিধানের পরিবারে একটু একটু করে ফিরছিল আর্থিক অবস্থা। কিন্তু হঠাৎই ২০২২ সালে ব্রেন ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর। বিপুল অর্থ ব্যয় করে চলছে বিধান বাউরির চিকিৎসা। চলছে বেঁচে থাকার লড়াই। আর সেই লড়াইয়ের মাঝেই গত ২২ এপ্রিল হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগের ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট।

বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো দিশাহীন হয়ে পড়েন বিধান বাউরি ও তাঁর পরিবার। নিজের অসুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে সব দায়িত্ব কীভাবে সামলে উঠবেন, তা ভেবেই কূল কিনারা খুঁজে পাচ্ছিলেন না বিধান বাউরী। কান্নায় ভেঙে পড়েছিল তাঁর পরিবারও। একদিকে অর্থনৈতিক ভাবনা আর অন্যদিকে সমাজে সম্মানহানির আশঙ্কায় দিন কাটতে থাকে তাঁর।

অবশেষে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বিধান ও বিধানের পরিবারে। বুধবার সকালে নিজের স্কুলে হাজির হয়ে কাজকর্মও করেন বিধান বাউরী। আইনের প্রতি আস্থা রেখেই বিধানের দাবি অবিলম্বে অযোগ্যদের বাছাই করে কঠোর থেকে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *