সাবধান! কোলেস্টেরল বাড়তে পারে জমিয়ে খাওয়া দাওয়ার পর , মেনে চলুন এই টিপস
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পুজো মানেই জমিয়ে ভরপেট খাওয়াদাওয়া। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরার পাশাপাশি ফুচকা থেকে শুরু করে রোল, চাউমিন, কাবাব, চিকেন সবই থাকে । আপনার কোলেস্টেরলের ধাত থাকলে সাবধান থাকুন । নচেৎ হু হু করে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল।রক্তে লিপিডের মাত্রা বাড়লে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে স্ট্রোক সহ একাধিক জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। শুধু কিছু নিয়ম মেনে চলুন। তাতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল।
সকলেরই জীবনের মূল উদ্দেশ্যে হল সুস্থ থাকা। তাই কয়েকটা কাজ ঠিকমতো করতে পারলেই প্রতিবছর এক মুখ হাসি নিয়ে পুজো কাটাতে পারবেন। সুস্থ থাকতে চাইলে আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব ভাজা খাবারের প্রতি আসক্তি কমাতে হবে। বাইরের ফাস্টফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। বাইরের বেশিরভাগ ফাস্টফুডে এমন কিছু রাসায়নিক উপস্থিত থাকে যা কোলেস্টেরল লেভেল বাড়াতে পারে। তাই সাবধান হন। বাইরের খাবার খাবেন না। তাই বলে মুখ গোমড়া করে বসে থাকলে চলবে না।বরং পুজোর কটা দিন জম্পেশ করে বাড়িতেই মাছ, মাংস রান্না করুন। তারপর জমিয়ে খান। এতেই কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে। রসনাতৃপ্তিও হবে। তবে বাড়ির রান্নাতেও খুব বেশি তেল ব্যবহার করবেন না। বরং কম তেলে দিয়ে সুস্বাদু পদ রাঁধার চেষ্টা করুন। এই কাজটা করলেই কিন্তু উপকার পাবেন হাতেনাতে।
পুজোর দিনেও নিয়ম করে ফল খেতে হবে। তাহলেই কোলেস্টেরলকে নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আটকে রাখতে পারবেন।আসলে আমাদের পরিচিত সব ফলে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু ফাইবার। তা কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়। তাই সুস্থ থাকতে রোজ ফল খান। তবে পেট ভরে খাবার খাওয়ার পরপরই ফল খাবেন না। এতে তেমন উপকার মিলবে না। বরং বড় মিলের অন্তত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বাদে ফল খান। তাহলেই সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।মনে রাখবেন,ধূমপান ও মদ্যপান সরাসরি হার্টের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি কোলেস্টেরল বাড়ানোর কাজেও এদের জুড়ি মেলা ভার। তাই সুস্থ থাকতে আপনাকে ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস ছাড়তে হবে। পুজোয় বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার অভিলাশাও রাখবেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনি অনায়াসে হেসেখেলে পুজো কাটিয়ে ফেলতে পারবেন।আপনার কোলেস্টেরলও থাকবে স্বাভাবিকের গণ্ডির মধ্যেই। পুজোর দিনগুলিতে সারাদিনের মধ্যে মাত্র ৩০ মিনিট বের করে ব্যায়াম করতেই হবে। তবে ব্যায়াম করার ইচ্ছে না থাকলে শুধু হাঁটতে পারেন। তাহলেও কিন্তু লিপিডের পাশাপাশি প্রেশার, সুগার- সবই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তাই এই নিয়মটা মেনে চলতেই হবে। এতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।