স্ত্রীকে খুনের পর দেহ লোপাট গোয়ালঘরের মাচায়! স্বামী হাতেনাতে গ্রেপ্তার হল দুর্গন্ধ ছড়াতেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : স্বামী গোয়ালঘরের মাচায় তুলে রেখেছিল স্ত্রীকে খুনের পর তা বস্তাবন্দি করে দেহ লোপাট করতে। কিন্তু আর হল না শেষরক্ষা। গৃহস্বামী প্রতিবেশীদের প্রবল সংশয়ের মুখে পড়ে বৃহস্পতিবার রাতে সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায়। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে তাঁরা এসে উদ্ধার করে মৃতদেহটি। রোমহর্ষক এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কাইগ্রাম এলাকায়। স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে পুলিশ সূত্রে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় দিন দুই আগে। কাইগ্রামের বছর আঠারোর ফুলকলি খাতুন ও বাবু শেখের ঝগড়ঝাঁটি, অশান্তি মাত্র তিন মাসের দাম্পত্যে। তার জেরেই ঘটে এমন মর্মান্তিক ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ফুলকলির শ্বশুরবাড়ির তরফে বারবার বলা হচ্ছিল, ঘরের বউ বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে ঝগড়ঝাঁটি করে। সেইমতো বৃহস্পতিবার বাইক নিয়ে বাবু শেখ বেরিয়েও পড়ে স্ত্রীকে খোঁজার জন্য। তবে তার আগেই যদিও সে দেহ লোপাটের ব্যবস্থা করেছিল স্ত্রীকে পরিকল্পনামাফিক খুন করে। পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনা সম্পর্কে এমনই বুঝতে পেরেছে প্রাথমিকভাবে।
এদিকে, বাবু শেখ সকলের চোখে ধুলো দিয়ে দিনভর স্ত্রীকে খোঁজার অভিনয় করে একাই রাতে বাড়িতে ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার আরও গভীর রাতের দিকে প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পান তাদের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে। তখনই সন্দেহ হয় তাঁদের। রাতেই মন্তেশ্বর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গোয়ালঘর ঘুরে দেখে আবিষ্কার করে,একটি বস্তাবন্দি দেহ রাখা আছে মাচায়। তা উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্ত্রীকে খুন করেছে বাবু শেখই, বস্তাবন্দি দেহটি এমনকি পাচার করে দেওয়া উদ্দেশ্য ছিল তার।পুলিশ অবশেষে বাবু শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে খুন করে দেহ লোপাটের এত সুনিপুণ পরিকল্পনা দেখে দুঁদে গোয়েন্দাদেরও চোখ কপালে উঠেছে।