স্পিকার-রাজ্যপালের সঙ্ঘাতের আবহ কি মুখ্যমন্ত্রী মমতার শপথ নিয়েও? উঠছে এমনি প্রশ্ন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা ভবানীপুর উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। এমনটাই দাবি জানাল এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পুজোর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক পদে শপথ নিতে পারেন রবিবার উপনির্বাচনে জয় লাভ করলে।বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মধ্যেও কি সঙ্ঘাত দেখা দিতে পারে এ বার সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়েও? বিধানসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি বিধানসভার সচিবালয়ে একটি বার্তা এসেছে রাজভবন থেকে। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, এর পর থেকে রাজ্যপাল শপথগ্রহণ করাবেন নির্বাচিত বিধায়কদের। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবিধানিক ভাবে দেশের রাষ্ট্রপ্রতির সাংসদদের শপথগ্রহণ করানোর দায়িত্ব থাকে লোকসভার ক্ষেত্রে।
রাজ্যের রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব পান রাজ্য বিধানসভার ক্ষেত্রে। কিন্তু প্রায় সব ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল সাংসদ বিধায়কদের শপথগ্রহণের দায়িত্ব দিয়ে দেন তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকেই। লোকসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় স্পিকারকে। রাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট বিধানসভার স্পিকারকে সেই দায়িত্ব দেন বিধানসভার ক্ষেত্রে। রাজভবন সূত্রে খবর, এ বার প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে রাজ্যপালের দেওয়া সেই বিশেষ ক্ষমতা।
রাজভবন থেকে বিধানসভায় পাঠানো বার্তায় আরও জানানো হয়েছে, শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপাল এত দিন যে অধিকার স্পিকারকে দিয়েছিলেন সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী, তা প্রত্যাহার করা হবে। ঘটনাচক্রে, বহু দিন ধরেই এই দায়িত্ব স্পিকারকে দিয়ে রেখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালরা। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল আইন বলে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন সেই অধিকারকে। এখনও অবশ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি এই প্রসঙ্গে। তবে মনে করা হচ্ছে, তিনি এ বিষয়ে মুখ খুলতে পারেন রবিবার ভবানীপুর-সহ শামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর।