‘স্বাস্থ্য ভবন আমিই ’, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল বিভিন্ন অভিযোগে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বদলির নির্দেশিকা ঘিরে যখন আঁচ বাড়ছে স্বাস্থ্য ভবনে। সেই সময় আবার স্বাস্থ্য ভবনের দেওয়ালে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। শ্যামাপদ রায় নামে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে পোস্টারগুলি সাঁটানো হয়েছে। সেই পোস্টারে কোথাও লেখা হয়েছে, ‘আমিই স্বাস্থ্য ভবন। আমিই শেষ কথা।’ স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, তৃণমূলের‌ই একটি শিবিরের মদতে পড়েছে এই বেনামি পোস্টারগুলি।

সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত না হয়েও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বদল ঘটানোর মূলে এই চিকিৎসক‌? বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে পোস্টারে। এর আগেও এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য ছিল স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে এই হাড়ের চিকিৎসক‌ই বকলমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালাচ্ছেন। সেই অভিযোগেই যেন আরও একবার শিলমোহর দিল স্বাস্থ্য ভবন চত্বর জুড়ে পোস্টার কাণ্ড।

যদিও, ঘটনার বিষয়ে শ্যামাপদ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর বক্তব্য কে কোথায় কী পোস্টার দিয়েছে এতে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু হয়নি।

সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বদলের নির্দেশ ঘিরে ছড়ায় পারদ চড়ে স্বাস্থ্য ভবনে। মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। চিকিৎসক সনৎ ঘোষকে নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে সন্দীপবাবু হাসপাতাল ছাড়ার আগে ঘরে তালা লাগিয়ে চলে যান। যার কারণে নতুন অধ্যক্ষ হাসপাতালে পৌঁছেও নিজের কক্ষে প্রবেশ করতে পারেননি। এরপর স্বাস্থ্য ভবনে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। এরপরই জানা যায়, অর্ডার বাতিল হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ তিনি আর অধ্যক্ষ নন।

এই ঘটনার পর তোলপাড় হয় চিকিৎসক মহল। প্রশ্ন উঠছে সন্দীপ ঘোষের পিছনে কাদের মদত আছে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই কি প্রকাশ্যে চলে আসছে? সূত্রের খবর, শাসকদলের নেতা তথা চিকিৎসক শান্তনু সেন ও নির্মল মাজিদের অভিযোগের ভিত্তিতেই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ফের কেন নির্দেশ বাতিল হল। তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী অর্থাৎ সুশান্ত রায়ের গোষ্ঠীর অঙ্গুলিহেলনে কি সেই নির্দেশই বাতিল হল? এই নিয়ে যখন জল ঘোলা চলছে সেই সময় হঠাৎ স্বাস্থ্য ভবনের এই দেওয়ালে পোস্টার নিয়ে ফের উস্কে গেল বিতর্ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *