স্যালাইন বিতর্কের জের ! পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের সব ওষুধ ব্যবহারের ওপর অবশেষে জারি হল এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : স্যালাইন বিভ্রাটে আগেই পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ৭ ওষুধের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের কোন‌ও ওষুধ ব্যবহার যোগ্য নয়। সোমবারের নির্দেশিকায় ৭ ওষুধে নিষেধাজ্ঞা ছিল। আর মঙ্গলবার দ্বিতীয় নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, স্টোরে মজুত থাকলেও ব্যবহার করা যাবে না। আর‌ও একবার নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের সবকটি মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালকে জানিয়ে দিল সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর। সোমবারের নির্দেশিকায় শুধু রিঙ্গার ল্যাকটেটের উল্লেখ ছিল। এদিনের নির্দেশিকায় পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের অন্য ওষুধগুলিকেও যুক্ত করা হয়। RANITIDINE (অ্যাসিডিটি), CEFTRIAXONE (অ্যান্টিবায়োটিক), ONDANSETRON (বমি ভাব কমানোর ওষুধ), FENTANYL CITRATE (ব্যথা কমানোর ওষুধ), OXYTOCIN (প্রসবের গতি বাড়াতে, প্রসবের পর রক্তক্ষরণ বন্ধে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এবার আর কোনও ওষুধই ব্যবহার করা যাবে না বলে স্পষ্ট করা হয়েছে।

উল্লেখ্য , মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য। প্রথমে স্যালাইন বিভ্রাটের তত্ত্বই উঠে আসে। যে তত্ত্ব মেদিনীপুর মেডিক্যালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসকরা প্রথম থেকেই এই তত্ত্বই খাড়া করেছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা আরও অন্যান্য দিকগুলো খতিয়ে দেখছেন। স্যালাইনই যে মৃত্যুর একমাত্র কারণ সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। তবে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ওই নির্দিষ্ট ব্যাচের স্যালাইনে যে ২-৩ বছর আগে থেকেই প্রসূতিদের সমস্যা হচ্ছিল, সে কথাও জানিয়েছেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। এদিকে, মঙ্গলবারই এই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার কথা জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই সংস্থার প্রধান ডিরেক্টর থাকেন শিলিগুড়িতে। দ্বিতীয় ডিরেক্টর থাকেন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। তাঁর বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *