হচ্ছে মাছ-সবজি চাষ, জলপাইগুড়ির DIG অভিনব পন্থা গ্রহণ করলো সরকারি বাংলো রক্ষায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ :সরকারি বাংলো অবস্থিত ১২ বিঘা জমির উপরই। আর খরচও নেহাত কম নয় তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিককে মাঝে মধ্যেই চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় এমন পরিস্থিতিতে। কিন্তু জলপাইগুড়ি রেঞ্জের DIG কল্যাণ মুখোপাধ্যায় সমস্যার মুশকিল আসান করতে উদ্যোগ নিয়েছেন এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েও।
DIG একাধিক সরকারি প্রকল্পকে কাজে লাগাচ্ছেন বাংলোর ১২ বিঘা জমিকে ব্যবহার করে বাংলো রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তুলতে৷ মৎস্য দপ্তরের মাছ চাষের প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে। তাতে ছাড়া হচ্ছে ১ ,২০০ মাছও। সেই মাছ বিক্রির যোগ্য হলে সেগুলো বিক্রি করে দিয়ে মাছ পুনরায় ছাড়া হবে। এমনকি মাছ ছাড়া হবে পুকুরেও৷ যাতে একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ উঠে আসে মাছ বিক্রি করে। বছরে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয় DIG বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য।
জলপাইগুড়ি রেঞ্জের DIG কল্যাণ মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, ” অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হতে হয় যে কোনও সরকারি জায়গাকেই । ১২ বিঘা জমি আর তার উপরই এই বাংলো। এই বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খরচও হয় বিরাট পরিমানে। তাই মৎস্যদপ্তর প্রজেক্ট করছে এই বাংলো চত্বরেই ৷এমনকি প্রতিপালন করা হচ্ছে হাঁস, মুরগিও। করা হচ্ছে ধান চাষও। বাংলোর গাছগুলির জন্য যে সারের প্রয়োজন ওখান থেকেই তা এসে যাচ্ছে। পুকুর থেকে আসছে মাছ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জলও৷ সংস্কারও করা হচ্ছে বাংলোতে দু’বিঘা জমির উপর যে পুকুর রয়েছে তারও। সেখানেও এমনকি মাছ ছাড়া হচ্ছে।এই কাজগুলি করা হচ্ছে বাংলোর স্বনির্ভরতার লক্ষ্যেই।