হাতির পাল ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে রাস্তার উপরে , বনদফতর হিমশিম খেলো জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে গিয়ে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রবিবার সাতসকালে বানরহাটের কার্তিক ওরাও নামে এক ব্যক্তি হিন্দি কলেজের পাশে পরিত্যক্ত এয়ারফিল্ডের ঝোপে শাবক সহ ১৮ টি হাতির একটি দলকে দেখতে পান রেতির জঙ্গল থেকে মোরাঘাট জঙ্গলে যাওয়ার সময় । তিনি জানান, দিনের আলো ফুটে যাওয়ায় জন্য বিশ্রাম নিতে দাঁড়িয়ে পরে ওই হাতির দলটি।

এদিকে জাতীয় সড়কের পাশে হাতির দল দেখতে ভিড় উপচে পড়ল নতুন বছরের প্রথম দিনই । পিকনিক পার্টি থেকে শুরু করে পর্যটকরা। বছরের প্রথম দিনই সাধারণ মানুষ হঠাৎ রাস্তার পাশে গজরাজের দল দেখে বিশেষ উৎসাহিত হন। আর এদিকে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ দফতরের কর্মীদেরও ব্যাপক হিমশিম খেতে হয় বানারহাটগামী সড়কে মানুষের ভিড় সামলাতে ।

এরপর সকাল ৬টা নাগাদ বিন্নাগুড়ি বনদফতরের কর্মীরা এসে বাজি, পটকা ও সাইরেন বাজায় হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফেরাতে। কিন্তু ঘন্টাখানেক চেষ্টা করার পর তারা নাছোরবান্দা বুনো হাতির পালকে জঙ্গলে ফেরাতে ব্যর্থ হয়। বাধ্য হয়ে দাঁতালদের কলেজের পাশে ফাঁকা স্থানে জঙ্গলের ঝোপ থেকে দিনভর পাহাড়া দিয়ে রাখতে হয়। এরপর বনদফতর সন্ধ্যায় ওই দলটিকে মোরাঘাট জঙ্গলে ফিরিয়ে দেয় বলে দাবি করে ।

যেহেতু একপাশে রাজ্য সড়ক, আর এক পাশে জাতীয় সড়ক। সেই কারণে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে ক্যামেরাবন্দি করতে থাকেন এমনকি হাতির ছবি । এ বিষয়ে বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রান শাখার রেঞ্জার শুভাশিস রায় জানান, ‘সকালে অনেক চেষ্টার পরও জঙ্গলে ফিরতে চায়নি হাতিগুলো। বেলা বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিতে চাইনি কারন হাতিগুলি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল তার একপাশে রয়েছে রাজ্য সড়ক, আর এক পাশে রয়েছে জাতীয় সড়ক ও কিছুটা দূরে আলিপুর-শিলিগুড়ি রেলপথ। পাশাপাশি দিনের আলোতে জঙ্গলে পাঠালে আক্রমণের মুখে পরার সম্ভাবনা ছিল হাতিগুলির সাথে শাবক থাকায়। তাই দিনভর হাতিগুলিকে জঙ্গলে দাঁড় করিয়ে রেখে সন্ধ্যার পর পাঠিয়ে দেওয়া হয় পাশেই মোরাঘাট জঙ্গলের দিকে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *