এ বছর কোনও অনুপ্রবেশ হয়নি চিন-ভারত সীমান্তে , প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এমনটাই জানাল রাজ্যসভায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিরোধীরা বরাবরই সরব পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে। আজ রাজ্যসভার অধিবেশনের শুরুতেই মূলত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রসঙ্গ উঠলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি চিন-ভারত সীমান্ত দিয়ে। পাক সীমান্ত দিয়ে একাধিকবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা হলেও কোনও অনুপ্রবেশ হয়নি চিন সীমান্তে। বস্তুত, চিন ও ভারত দু’তরফেই সেনা পিছনো (ডিসএনগেজমেন্ট) শুরু হয়েছে সীমান্তে সুস্থিতি বজায় রাখতে। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বারবারই অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে, মূলত এমন অভিযোগ ছিলই।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আগেও জানিয়েছিলেন, চিন মানতে চাইছে না ১৯৬২ সালের সীমান্ত চুক্তি। চলতি বছরের শুরু থেকে চিন সীমান্ত দিয়ে কতগুলি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে আজকের অধিবেশনে তা জানতে চাওয়া হয়। তার জবাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, গত বছর এপ্রিল থেকে চিন সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখার অনেকগুলি পোস্টে।এমনকি চিনা বাহিনী ১৫ জুন গালওয়ানে সংঘর্ষের পাশাপাশি অনেক বার আগ্রাসন ও ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা চালিয়েছে।
অনুপ্রবেশ আর আগ্রাসন বা ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা মূলত এক নয়। ‘অনুপ্রবেশ’-এর ধারণা প্রযোজ্য হয় জঙ্গিদের ক্ষেত্রেই। সেই হিসেবে কোনোও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি ভারত-চিন সীমান্তে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়, সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখতে।জোর দেওয়া হয়েছে সীমান্তে একাধিক স্তরে সেনা মোতায়েন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো ও সেই সব তথ্য আদানপ্রদান, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মতো বিষয়গুলির দিকে।