নয়নতারার চা রোগমুক্ত রাখে শরীরকে , ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ এমনকি নানা পুষ্টি গুনে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আপনার সারাদিনের ক্লান্তি, স্ট্রেস ও অ্যাংজাইটির সমস্যা মেটাতে পারে বাড়ির আশেপাশে, রাস্তার ধারে অবহেলিত ভাবে বেড়ে ওঠা কিংবা যত্নে সাজানো ফুল গাছের সাথে বেড়ে ওঠা নয়নতারাই। আর সেই কারণেই এটি জীবনদায়ী ভেষজ নামে পরিচিত আয়ুর্বেদিক চিকিত্সায়। কারণ আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে জীবন রোগমুক্ত ও স্বাস্থ্যজ্জল থাকবে এই গাছের ফুল বা পাতার রস কিংবা পাঁপড়ি দিয়ে তৈরি চা নিয়মিত খেলে।এছাড়াও নয়নতারা বিশেষে ভাবে অপরিহার্য মহিলাদের পিরিয়ড, অধিক স্রাব, পেটে ব্যাথার মতো নানাবিধ সমস্যা দূর করতেও। তাই আজ রইলো ঘরোয়া উপায়ে নয়নতারা গাছের দ্বারা রোগ প্রতিরোধের ম্যাজিক কিছু টিপস।
১. ডায়াবেটিস থাকবে দূরহস্তে- নয়নতারা ফুলের জুড়ি মেলা ভার ডায়াবেটিস থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে। তাই নয়নতারা গাছের ফুল ও মূল শুকনো হলে ১ গ্রাম ও কাঁচা হলে ২ গ্রাম একসঙ্গে নিয়ে সারারাত একটা মাঝারি মাপের ১ কাপ জলে ভিজিয়ে রেখে জল ছেকে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল অর্ধেক করে সকাল ও রাতে পান করুন। ডায়াবেটিস হাতের মুঠোয় থাকবে এর নিয়মিত ব্যবহারে। এর একই ব্যবহার বিশেষ কার্যকরী বাচ্ছাদের কৃমির সমস্যা দূর করতেও।
২. ব্লাড প্রেসার রাখবে নিয়ন্ত্রণে- তাঁদের জন্য নয়নতারা একই ভাবে কার্যকরী যারা হাই ব্লাড-প্রেসারের সমস্যায় ভুক্তভুগি। তাই নয়নতারা ফুলের রস করে পান করুন রাতে শোয়ার আগে। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে এর নিয়মিত ব্যবহারে।
৩. দূর হবে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা- বেশির ভাব মহিলারাই ভোগেন ঋতুস্রাবের নানান সমস্যায়। কারোর অনিয়মিত পিরিয়ড আবার কারোর অধিক স্রাব, লেগেই থাকে এমনকি পিরিয়ড কালীন যন্ত্রনা। তবে নয়নতারার হাতে রয়েছে এই সব সমস্যার সমাধান। তাই নয়নতারা চা কিংবা ফুলের রস নিয়মিত খান পিরিয়ড সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে।
৪. স্ট্রেস-অ্যাংজাইটি দূর করতে কার্যকরী- শরীরে হাইপার টেনশন, ভুলে যাওয়ার সমস্যা, ঘুম না হওয়া ইত্যাদি জন্ম নেয় সারাদিন অফিসের কাজের চাপ, স্ট্রেস, ক্লান্তি থেকে। তাই এক মাত্র নয়নতারা চায়ে ভরসা রাখুন এসব থেকে আগে ভাগে মুক্তি পেতে। যার এক চুমুক দূর করে স্ট্রেস-অ্যাংজাইটির সমস্যা।
৫. চর্ম রোগ দূর করতে ক্ষমতাবান- ত্বক, স্ক্যাল্পের চুলকানি, ঘা, জ্বালা ভাব, ফাঙ্গাস জাতীয় নানান সমস্যা দূর করতে নয়নতারা পাতা রস বিশেষ ভাবে কার্যকরী। তাই হাতেনাতে ফল পাবেন ক্ষত স্থানে এই রস দিয়ে ত্বক বা স্ক্যাল্প পরিষ্কার করলে।