তৃণমূল আক্রান্ত হল মছলন্দপুরে , টায়ার জ্বলল প্রতিবাদে, ফের কি শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ? উঠছে প্রশ্ন
ঘটনাটি ঘটেছে মছলন্দপুরের বসিরহাট রোডের বামনডাঙা এলাকায়। ঘটনায় গোষ্ঠীকোন্দলের একটি তত্ত্বও উঠে আসছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এমন কোনও অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে আক্রান্ত তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরে তৃণমূলের তরফে একটি বাইক মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূলের কর্মীদের উপর একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আর এরই প্রতিবাদে এদিন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। ঘটনাটি ঘটেছে মছলন্দপুরের বসিরহাট রোডের বামনডাঙা এলাকায়। ঘটনায় গোষ্ঠীকোন্দলের একটি তত্ত্বও উঠে আসছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এমন কোনও অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছে। বরং বিরোধী শিবিরের দিকেই এই হামলায় দায় ঠেলেছে তারা।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বেশ উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে গোবরডাঙা থানার পুলিশ, হাবরার আইসি ও হাবরার এসডিপিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কে বা কারা, এই হামলার সঙ্গে যুক্ত, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব উস্কে দিয়েছে বিজেপি শিবির। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা, খোঁজখবর নিয়ে তারপর বিস্তারিত বলা যাবে। তবে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও এখানে ঘটনা নেই বলেই দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের। বলছেন, “আমরা সবাই তৃণমূল। যাঁরা করেছে, আমার বিশ্বাস তারা আমাদের বিরুদ্ধ রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ হবে। নাহলে, তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে থাকা অবস্থায় মানুষদের উপর কেন হামলা হবে?”
এদিকে বিজেপি নেতৃত্ব বলছে, কাটমানিকে কেন্দ্র করেই এখানে তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিজেপি নেতা স্বপন কুমার বিশ্বাস বলছেন, “এখানে বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই। আগামী পঞ্চায়েতের টিকিট নিয়ে লড়াইয়ের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। মছলন্দপুরে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী আছে, এটি সবাই জানে।” যদিই এই ধরনের কোনও অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। উল্টে, বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুলছে শাসক শিবির।