বিজয় মাল্য বিদেশে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন এয়ারলাইন্সের আর্থিক সংকটেও , চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিজয় মাল্য ফ্রান্স, ব্রিটেনে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন কিংফিশার এয়ারলাইন্সের চরম আর্থিক সংকটের মধ্যেও, এমনই দাবি করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের তরফে এও দাবি করা হয়েছে বিজয় মাল্য ৩৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন ব্রিটেন ও ফ্রান্সে। সেই সময়ই তার সংস্থা কিংফিশার এয়ারলাইন্সের ছিল চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে ।

সিবিআই আদালতে সম্পুর্ণ চার্জশিট পেশ করেছে বিজয় মাল্যের বিরুদ্ধে । সিবিআই এও জানিয়েছে যে বিজয় মাল্য ২০১৫-২০১৬ সালে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সে ৩৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেন। সেই সময় কিংফিশার এয়ারলাইন্স প্রবল আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল।
মূলত ,বিজয় মাল্য আইডিবিআই ব্যাংকে -কিংফিশার এয়ার লাইন্সএর ৯০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ খেলাপি মামলায় অভিযুক্ত। সিবিআই এর তদন্ত করছে।

সিবিআই পূর্ববর্তী চার্জশিটে ১১ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি, তদন্ত সংস্থা আইডিবিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত’র নামও চার্জশিটে উল্লেখ করে। তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগ করেছে যে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তার পদের অপব্যবহার করে, ষড়যন্ত্র-এ জড়িত ছিলেন। পাশাপাশি সিবিআই চার্জশিটে এও উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৭ সালে মাল্যর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা, তিনি অনায়সেই ব্যাঙ্ক ঋণ মিটিয়ে দিতে পারতেন যা দিয়ে কিন্তু তিনি তা করেননি।

চার্জশিট অনুসারে, দাশগুপ্ত তার অফিসিয়াল পদের ‘অপব্যবহার’ করেছেন এবং ২০০৯ সালের অক্টোবরে ১৫০ কোটি টাকার স্বল্পমেয়াদী ঋণ (এসটিএল) অনুমোদন ও বিতরণের ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বিজয় মাল্য’র সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে। সিবিআই ছাড়াও, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)ও মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত করছে মালিয়ার বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি, মুম্বইয়ের একটি বিশেষ আদালত মালিয়াকে ‘পলাতক’ বলে ঘোষণা করে।

বিজয় মাল্য’র সংস্থার কাছ থেকে ন’হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে দেশের ব্যাঙ্কগুলির। বিপুল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত মালিয়া ২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছে। বিজয় মাল্য আইডিবিআই ব্যাঙ্ক-কিংফিশার এয়ারলাইনস ঋণ খেলাপি মামলাতেও যুক্ত যার তদন্ত চালাচ্ছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *