জলাশয় ভরাট খাল সংস্কারের মাটি দিয়েই! এবারও কি বর্ষায় নিউটাউন-সল্টলেকের হাল ফিরবে না? উঠছে প্রশ্ন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শুরু হয়েছে খাল সংস্কারের কাজ। যাতে বর্ষায় জলমগ্ন না হয়ে যায় নিউটাউন ও সল্টলেকের একটা বড় অংশ। উল্টে মানুষের ভোগান্তি বাড়তে চলেছে এই খাল সংস্কারের মাধ্যমে। আদপে কাজের কাজ কিছুই হবে না। অভিযোগ, খাল সংস্কারের মাটি দিয়েই ভরাট করা হচ্ছে নিউটাউন পাথরঘাটা ছাপনা এলাকার একাধিক জলাশয়। অর্থাৎ সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেখানে থাকার সম্ভাবনা। এই জলাশয় ভরাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যসহ তৃণমূলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে।
নিউটাউন এলাকার জলাশয় ভরাট নিয়ে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে তা নিয়ে ধমকও দিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এখানকার বাগজোলা ও কেষ্টপুর খাল সংস্কারের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। অভিযোগ, খাল থেকে তোলা সেই মাটিই ব্যবহার করা হচ্ছে জলাশয় ভরাট করা জন্য। রাজারহাটের বিডিও ঋষিকা দাস বলেন, ‘আমি প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি নিজে বিষয়টা দেখছেন। বিষয়টির জন্য স্থানীয় টেকনো সিটি থানার পুলিশ সহ সেচ দফতরের আধিকারিককে চিঠি করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গেও কথা হয়েছে। এই ধরনের কাজ যাতে না হয় তা দেখা হবে।
বর্ষা এলেই চিন্তায় পড়ে যান নিউটাউন ও সল্টলেকের বাসিন্দা-অফিসকর্মীরা। খাল খনন করলেও সমস্যা সমাধানের পথ দেখছেন না স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের সদস্য-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতে রাতের অন্ধকারে খালের মাটি দিয়ে এলাকার জলাশয় গুলি ভরাট করা হচ্ছে। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন, ‘এই ঘটনাটা আমার কানে এসেছে। সেচ দফতর খাল কাটছে। পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের প্রধানকে বলেছি যে কারা করছে তাদের নোটিস ধরাতে এবং ভরাট কাজ বন্ধ করাতে। জলাশয় ভরাট করার আইন নেই যদি সেটা রেকর্ড নাও থাকে তাও জলাশয় ভরাট করা যায় না। প্রয়োজনে ভরাট হলেও মাটি তুলে দেওয়া হবে। পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দল কিন্তু মাটি দিয়ে ভরাট করার নির্দেশ দেয়নি। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে এবিষয়ে জানানো হবে।’
অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চ্যাট্টোপাধ্যায়ও। বিধায়ক বলেন, ‘এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চালাকি করে জলাশয় ভরাট করা যাবে না। বিডিওর সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রধানকে বলা হয়েছে। আমরা পুলিশকেও বলছি। কোটি কোটি টাকা খরচ করে খাল কাটা হচ্ছে মানুষকে ভালো রাখার জন্য। পঞ্চায়েত সদস্য হলেও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা বরদাস্ত করা হবে না।