কলকাতার নিউটাউনে এবার ভার্টিক্যাল সিটি তৈরি হতে চলেছে ভার্টিক্যাল গার্ডেনের পর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ভার্টিক্যাল গার্ডেনের পরে অবশেষে এবারে ভার্টিক্যাল সিটি। কলকাতার নিউ টাউনে গড়ে উঠতে চলেছে তেমনি এক অত্যাধুনিক শৈল্পিক বুদ্ধিমত্তার নিদর্শন। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই নিউটাউনে বাংলার প্রথম ভার্টিক্যাল গার্ডেন তৈরি হয়েছিল রাজ্য সরকারের অধীনস্থ হাউসিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন বা হিডকোর বিশেষ উদ্যোগে।
সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার পরে পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তর থেকে প্রশংসার পরে ফের নিউটাউনে এই ভার্টিক্যাল সিটি তৈরি হতে চলেছে হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশীষ সেনের পরিকল্পনায়। কিন্তু কি এই ভার্টিক্যাল গার্ডেন?জমির সমতলে নয়, আকাশপানে লম্বালম্বি উঠে গেছে বাগান। তাতে ফুল ফুটছে, আবার শাকসব্জি, তরিতরকারিও জন্মাচ্ছে। ভার্টিক্যাল গার্ডেন বলা হয় এই ধরনের বাগানকে। পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে মিলান, প্যারিস, সিঙ্গাপুর, মেক্সিকো সিটির মতো শহরে তো বটেই, আমাদের দেশেও এমনকি ভার্টিক্যাল গার্ডেন দেখা যায় ব্যাঙ্গালুরু, পুনে, হায়দ্রাবাদ, কোচি, দিল্লিতেও ।
হিডকো সূত্রে জানা গিয়েছে নিউটনের যে ফিনটেক হাব গড়ে উঠছে, সেখানেই তৈরি হবে ৩৫ তলা উঁচু এই ভার্টিক্যাল সিটি। কিন্তু মাটির সমান্তরালে বিশাল এরিয়া নিয়ে নয়, বরং মাটি থেকে আকাশের দিকে উল্লম্বভাবে এই বিশাল প্রাসাদে একইসঙ্গে সম্পন্ন হবে রেসিডেন্সিয়াল কমার্শিয়াল রিটেল, ফিনটেক এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজকর্ম।
খুব স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি বা নিউইয়র্ক শহর যেমন ভাবে জোর দিচ্ছে ভার্টিক্যাল বিল্ডিং বানানোর উপরে অথবা মালয়েশিয়া এবং আমাদের এশিয়া মহাদেশের আরেক শহর সিঙ্গাপুর যেভাবে নিজেকে গড়ে তুলেছে ভার্টিক্যাল সিটি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার নিউটাউনকে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে সেই ভার্টিক্যাল সিটির আদলে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারই অনুকরণে।