মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই থাকছে কলকাতা পুরসভার স্কুলে, দুর্দান্ত লাইব্রেরি ক্লাস থাকবে খুদেদের জন্যও

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাচ্চাদের উপযোগী সহজ সরল ভাষায় লেখা ছড়ার বই পড়ানো হবে। যেখানে লেখা কম, ছবি বেশি থাকবে। যাতে শিশুরা সেই বইয়ের প্রতি আগ্রহী হয়। কলকাতা পুরসভা স্কুলে হতে চলেছে বিশেষ লাইব্রেরি ক্লাস । যেখানে থাকবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ছড়া-কবিতার বই।

‘সংবাদ প্রতিদিন’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কচিকাঁচাদের জন্য লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা-ছড়ার বই থাকবে পুরভার স্কুলগুলিতে। সহজ সরল ভাষায় লেখা বইগুলির প্রতি শিশুদের আগ্রহ আগের থেকে অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে কলকাতা পুরসভার স্কুলের সংখ্যা প্রায় ২৪২ টি। পঠন-পাঠনের উন্নতির কথা ভেবে স্কুলগুলোকে একত্রিত করার পরিকল্পনা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার স্কুলগুলোতে চালু হয়েছে লাইব্রেরি ক্লাস। এর আগে কলকাতা পুরসভার স্কুলগুলিতে সেভাবে কোন পাঠাগার ছিল না। এই পাঠাগার প্রাথমিকভাবে আপাতত পাঁচটি স্কুলে চালু হয়েছে। যেখানে রাখা হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছড়ার বই।

আসলে কলকাতা পুরসভার স্কুলের যে সব পড়ুয়ারা আসে, বাড়িতে বা তারা যেখানে থাকে সেখানে পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সেভাবে নেই। তাদের কাছে পড়াশোনার অন্যতম মাধ্যম বিদ্যালয়। এক্ষেত্রে শিশুদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করে তোলার অত্যন্ত জরুরি। তাই তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে সহজ সরল ভাষায় লেখা মজাদার কিছু বই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিশুদের জন্য প্রচুর বই লিখেছেন, তবে তার মধ্যে কোন বইগুলি পুরসভার লাইব্রেরি ক্লাসে রাখা হবে এখনো তা চূড়ান্ত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর শিশুদের জন্য লেখা ‘ শিশুদোলা’, ‘আমি’, ‘নামাঞ্জলি সমগ্র’ বেশ উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাতেও তাঁর প্রায় ছয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়াও পুরসভার স্কুলগুলিতে বিভিন্ন বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিকের বই রাখা হবে। পাশাপাশি পুরসভা স্কুলগুলি চাইছে, মনীষীদের ছবি দিয়ে পরিচয় লেখা এমন বইও থাকুক। পুরসভার স্কুলে যেসব পড়ুয়ারা পড়ে, তাদের কাছে এই লাইব্রেরি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়ুয়ারা এই স্কুলে ভর্তি হয়। বাড়িতেও সেভাবে পড়াশোনা করার পরিবেশ নেই। তাই বাচ্চারা যদি স্কুলের সময়সীমার মধ্যে নির্দিষ্ট একটা সময়ে লাইব্রেরি ক্লাস পায় তাহলে বিষয়টি দারুণ হবে। এই বিশেষ লাইব্রেরির নাম রাখা হয়েছে গল্পঘর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *