পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ মিলবে ভৌমবতী অমাবস্যায়, আপনি লাভবান হবেন বিশেষ উপায়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ২১শে মার্চ মুক্তি পেতে পারেন অতৃপ্ত আত্মার প্রভাব থেকে। মিলতে পারে পিতৃ পুরুষদের আশীর্বাদ। কারণ ২১শে মার্চ পালিত হবে চৈত্র অমাবস্যা । এই অমাবস্যাকে অনেকে বলেন ভূতরী অমাবস্যা কিংবা ভৌমবতী অমাবস্যা। এই অমাবস্যাকে ঘিরে সমাজে প্রচলিত রয়েছে নানান বিশ্বাস এবং ধ্যান-ধারণা। মনে করা হয়, এই দিন নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তার জন্য পালন করতে হয় বিশেষ কয়েকটি নিয়ম। সাধারণত ভৌমবতী অমাবস্যা পালন করা হয় চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষে। পাশাপাশি এই অমাবস্যায় সামান্য উপায়ের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি লাভ পেতে পারেন।
ভৌমবতী অমাবস্যায় ব্রাহ্ম মুহূর্তে উঠে একটি পিতল বা তামার পাত্রে জল নিয়ে সূর্যের উদ্দেশ্যে অর্ঘ্য নিবেদন করবেন। সাথে রাখবেন লাল চন্দন গুঁড়ো এবং জবা ফুল। কথিত আছে, এর ফলে সংসারের উপর থেকে অশান্তির ছায়া দূর হয় এবং সুখ-সমৃদ্ধি ফিরে আসে।
আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং ধন লাভের উদ্দেশ্যে এই দিন শ্রীযন্ত্রের পুজো করতে পারেন।
এবারের চৈত্র অমাবস্যা মঙ্গলবার পড়েছে। তাই একে বলা হচ্ছে ভৌমবতী অমাবস্যা। আর্থিক দিক থেকে লাভবান হতে এই দিন লাল চন্দনের তিলক দিয়ে শ্রীযন্ত্রের পুজো করে মঙ্গলস্তোত্র পাঠ করবেন।
মনে হয় করা হয়, কোন ব্যক্তি যদি এই দিন জমি সংক্রান্ত কাজে সাফল্যের জন্য লাল চন্দনের মালা ধারণ করেন সেক্ষেত্রে উপকার মেলে।
এই দিন আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় ব্যক্তিদের দান করবেন। সম্ভব হলে সারাদিন উপবাস রাখতে পারেন।
কথিত আছে, পূর্বপুরুষরা যদি রেগে থাকে তাহলে চাকরি ব্যবসা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা তৈরি হয়। পাশাপাশি আর্থিক দিক থেকেও পরিবারের নেমে আসে নানান দুর্ভোগ। পিতৃ পুরুষদের সন্তুষ্ট করতে মোক্ষম দিন এই অমাবস্যা।
পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ থেকে গঙ্গা নদীতে স্নান করে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল নিবেদন করবেন। বলা হয়, পিতৃলোকে নাকি জলের অভাব থাকে। এইভাবে জল অর্পণ করেন করলে তারা তৃপ্ত হন।
পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পেতে অমাবস্যায় পিতৃপুরুষদের শ্রাদ্ধকর্ম করে তাদের উদ্দেশ্যে পিণ্ড দান করুন। সামর্থ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণদের জন্য ভোজনের ব্যবস্থা করতে পারেন।