কেউ মরেনি ’সরকারি রিপোর্টে ‘, অথচ মৃতদেহ’ ছড়িয়ে পড়ে আছে বিজেপি শাসিত মণিপুরের সংঘর্ষ কবলিত এলাকায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পরপর চার্চ ভেঙে দেওয়া ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে উপজাতিদের সরানোর প্রক্রিয়া থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি মণিপুরে। জ্বলন্ত এই রাজ্যের সরকারি তথ্যে কারোর মৃত্যুর খবর নেই। তবে স্থানীয় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্র ‘Ukhrul Times’ দাবি কমপক্ষে ৩০ জন নিহত। সংঘর্ষ কবলিত এলাকায় যেখানে সেখানে পড়ে আছে দেহ। PTI জানাচ্ছে সংঘর্ষ থামাতে নেমেছে সেনা। দাবি করা হয়েছে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।
India Today NE জানাচ্ছে, বিক্ষোভে বেশ কয়েকজনের প্রাণ গেছে, যদিও রাজ্য সরকার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি৷ মণিপুরের পরিস্থিতি ভয়াবহ, এবং শান্তি ও শান্তির প্রয়োজন জরুরি
উপজাতি বনাম সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়ানোর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে এমনই অভিযোগ বিজেপি পরিচালিত মণিপুর সরকারের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই জনগোষ্ঠিকে উপজাতি তালিকাভুক্ত করে অন্যান্য উপজাতি গোষ্ঠির বাসিন্দাদের উপর সামাজিক চাপ ও বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। আরও অভিযোগ,বিভেদ ছড়ানোর জন্য খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী উপজাতিদের একটার পর একটা চার্চ ভাঙা হয়েছে বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে।
মণিপুরের পরিস্থিতি কেমন? ‘The Wire’ জানাচ্ছে, যদিও মণিপুর সরকার রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ৩ মে রাত থেকে অগ্নিসংযোগ এবং সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে এখনও (শুক্রবার পর্যন্ত) কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি তবে স্থানীয় সংবাদপত্র, প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভুক্তভোগী পরিবারের উপর ভিত্তি করে কিছু তথ্য সামনে এসেছে। নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।