চলুন ঘুরে আসি পর্যটনের নতুন দিশা মেঘ-মাখানো পাহাড়ের দেশ গীতখোলা পাশাবং এ
নিজস্ব সংবাদদাতা : পর্যটকদের কাছে এবার নতুন ঠিকানা পাশাবং যারা পাহাড়, বন ও নদীর তীরে ঘুরে বেরাতে ভালো বাসেন তাদের কাছে এরকম স্থান গন্তব্য হতে পারে। কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের গীতখোলা পাশাবং এই রকম এক আদর্শ গন্তব্য। ছোট্ট এক পাহাড়ি গ্রাম কিন্তু, পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর।মুষ্টিমেয় কিছু পরিবারের বাস। এই সুন্দর পাহাড়ি উপত্যকা পর্যটকদের নতুন গন্তব্য হয়ে উঠলো।
পাহাড় ঘেরা এই উপত্যকার নাম পাসাবং । যার মধ্যমণি এই গীতখোলা নদী। উপলমুখর গীতখোলার গান শুনতে এবারে উদ্বোধন হয়ে গেল পাসাবং হিলরিভার ট্রেইল বা এইচআরটি কটেজ রিসর্ট এর। এখানে প্রতিটি কটেজেই দ্বিতল সজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে। দুটি পরিবার একত্রে একটি কটেজেই যেমন রাত্রিবাস করতে পারবেন, তেমনি ছয় সাত জনের বন্ধুদের গ্রুপও অনায়াসে একটি কটেজে থাকার সুবিধে পাবেন।রয়েছে প্রশস্ত ডাইনিং হল, নদীর ধারে বসবার ব্যবস্থা।
প্রকৃতি ছুঁয়ে থাকার এমন উদ্যোগের কান্ডারী রাজেন প্রধান। পর্যটন ব্যবসায় নতুন নতুন ভাবনার দিশারী রাজেন প্রধান এই স্থানটি নির্বাচন করেন। বেকার বা উদ্যোগী যুবক, যুবতীদের অনেকটা সমবায়ের মতন করে বিনিয়োগে উৎসাহ দেন। রাজেনবাবুর দিগদর্শনের মাধ্যমে আর বেকার যুবক যুবতীদের কর্ম প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে স্থানীয়দের সাহায্যে উদ্বোধন হয়ে যায় এইচ আর টি।
এদিন এই হোমষ্টের উদবোধন করেন জিটিয়ের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সঞ্চবীর সুব্বা।পূজা, অমিত স্বরূপ প্রশান্ত এরা প্রত্যেকেই পর্যটন ব্যবসায় একেবারে নতুন ওদের সকলের একত্রিত এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন জিটিএর সদস্য, আধিকারিকরাও। আগামীতে পাসাবঙএর এই মডেল অন্যান্য স্থানেও লক্ষ্য করা যাবে বলে রাজেন বাবু উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই দাবি করেন।তৈরি হচ্ছে কর্ম সংস্থানের বিকল্প মাধ্যম।
এই হোমস্টের পাহাড়ের ঢালে রয়েছে সামাবিয়ং চাবাগান। পাহাড়, বন ঘেরা এক সুন্দর পরিবেশ। ট্রাকিং করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে বহু দূরে দেখা যাবে শিলিগুড়ি, মালবাজারসহ ডুয়ার্সকে।
মালবাজার শহর থেকে লাভা হয়ে এই এলাকাতে পৌছুতে দুরত্ব হবে ৪১ কিমি। ঝান্ডি হয়ে গেলে পড়বে ৩৯ কিমি। শহর পেরিয়ে চাবাগান, বন, পাহাড় দেখতে দেখতে ঘন্টা দেড় সময় লাগবে গন্তব্যে পৌছুতে। উদবোধনের প্রথম দিনেই পর্যটকের ভির দেখা গেলো এখানে। এখান থেকে অন্যান্য টুরিষ্ট স্পষ্ট গুলো খুব কাছে। যেমন লাভা, লোলেগাও, রিসভ, ঝান্ডি, নকডারা।