কংগ্রেস চরম খুশি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে , বিজেপিকে তীব্র খোঁচা ইলেকটোরাল বন্ড নিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক, ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট । লোকসভা নির্বাচনের আগে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ রায় এটি। শীর্ষ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানাল কংগ্রেস । বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের জেনেরাল সেক্রেটারি জয়রাম রমেশ বলেন, “নোটের বদলে ভোটের ক্ষমতাই পুনর্বহাল করা হবে”।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে অবিলম্বে নির্বাচনী বন্ড বিক্রি বন্ধ করা এবং নির্বাচন কমিশনকে বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই কংগ্রেস সচিব জয়রাম রমেশ বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট আজ মোদী সরকারের ইলেকটোরাল বন্ড প্রকল্পকে আইন-বিরুদ্ধ ও সংবিধান বিরুদ্ধ বলে জানিয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই রায়কে স্বাগত জানানো হচ্ছে। ফের একবার নোটের বদলে ভোটের ক্ষমতা জারি হবে।”
জয়রাম রমেশ এও অভিযোগ করেন, “মোদী সরকার একদিকে অন্নদাতাদের উপরে অন্যায়ের উপর অন্যায় করে যাচ্ছে, আবার অন্য দিকে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে চাঁদা দাতাদের। ভিভিপ্যাট ইস্যু নিয়ে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে দেখা করতেও অস্বীকার করছে। আশা করছি সুপ্রিম কোর্ট এবার এই বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখবে। যদি ভোটিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছই হয়, তবে এত জেদ কীসের?”
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ইলেকটোরাল বন্ড চালু করার পরই আপত্তি তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। সিপিআইএম শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পর সুর চড়ায় কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলগুলিও। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, কোন কর্পোরেট সংস্থা কোন রাজনৈতিক দলকে কত টাকা আর্থিক অনুদান দিচ্ছে, তার বদলে কী সুবিধা পাচ্ছে, এই তথ্য জানতে পারছে না ভোটাররা। ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক দল অগাধ তহবিল পাচ্ছে। কংগ্রেসের দাবি ছিল, নির্বাচনী বন্ড আনার পরই বিজেপির নির্বাচনী তহবিল ক্রমশ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে বলেও । উল্লেখ্য কংগ্রেস ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ইলেকটোরাল বন্ড থেকে ১৭১ কোটি টাকা পেয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই অনুদানের অঙ্ক ছিল ২৩৬ কোটি টাকা।আর সেখানেই বিজেপি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ইলেকটোরাল বন্ডের মাধ্যমে পেয়েছিল ১৩০০ কোটি টাকা।