পাঁচ বছরের শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু, আটক দাদু-দিদা ও পরিচারিকা, ব্যাপক শোরগোল সোনারপুরে
সোনারপুরে : বাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হয় পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যার রক্তাক্ত দেহ। ওই শিশু কন্যার নাম প্রত্যুষা কর্মকার । শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক অশান্তির ইঙ্গিত মিলেছে। এদিকে এই মর্মান্তিক ঘটনায় ব্যাপক শোরগোলও শুরু হয় সোনারপুর এলাকায়।জানা গেছে, সেদিন প্রত্যুষার মা ও বাবা অফিসে ছিলেন। ঘরে ছিল শুধু দাদু প্রণব ভট্টাচার্য, দিদা ও পরিচারিকা। বিকেলের দিকে হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা বাড়ির ভিতরে ছুটে যান এবং দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে ছোট্ট প্রত্যুষা। তড়িঘড়ি তাকে সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়দের দাবি, প্রণব ভট্টাচার্য নাকি ছোট মেয়ের কন্যাসন্তান হওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন, এই পারিবারিক রাগ-অভিমান থেকেই ঘটতে পারে এই নৃশংসতা। ঘটনার পর পুলিশ প্রণব ভট্টাচার্য, তাঁর স্ত্রী ও পরিচারিকাকে আটক করেছে। শিশুর মৃত্যুর পেছনে দাদুর ভূমিকা কতটা, তা খতিয়ে দেখা হয় । পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “বাড়িতে তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক থাকা সত্ত্বেও কেউ সাহায্য করেননি—এই বিষয়টি সন্দেহজনক। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত এগোবে।”এদিকে প্রত্যুষার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। প্রতিবেশীদের প্রশ্ন, “এত ছোট্ট মেয়েটির কী দোষ ছিল?”এদিকে কালীপুজোর মরশুমে এই রক্তাক্ত ঘটনায় শোক ও ক্ষোভে উত্তাল হয় সোনারপুর এলাকা ।

