মুচির মৃত্যু কলকাতার ফুটপাথে, পঙ্গু স্ত্রী ও মেয়ে দেহ আগলে রইলেন ৯ ঘণ্টা ধরে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফের শহর কলকাতার অমানবিক মুখ প্রকট হয়ে ধরা দিল কোভিড বিপর্যয়ের টালমাটাল অবস্থায়। যে শহরকে বলা হয় সিটি অফ জয়, যে শহর তিল তিল সৌন্দর্যের আধার, সে শহরেই মা-মেয়েকে ৯ ঘণ্টা ধরে পড়ে থাকতে হল এক ব্যক্তির মৃতদেহ আগলে।আরও অভিযোগ উঠেছে , পথচারী থেকে প্রশাসন, কেউই ফিরেও দেখেনি । গতকাল, বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা সামনে এসেছে শহরের অন্যতম এক জনবহুল এলাকা রাসবিহারী ক্রসিংয়ে। রাসবিহারী থেকে হাজরার দিকে যাওয়ার যে বাসস্ট্যান্ড রয়েছে , তার কাছেই মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী ও মেয়ে মৃতদেহ নিয়ে সত্কারের অপেক্ষায় থেকেছেন।
এই অপেক্ষা চলছে এমনকি বুধবার রাত থেকেই। ওই পরিবারের আরও অভিযোগ রাত পেরিয়ে সকাল, সকাল পেরিয়ে বেলা, তবুও দেহ সত্কারের ক্ষেত্রে তখন কোনও সহায়তা আসেনি বলেও । জানা গেছে, ওই জায়গায় গঙ্গা দাস নামের এক ব্যক্তি ফুটপাথে জুতো পালিশ করতেন। সেখানেই থাকতেন। পঙ্গু স্ত্রী রেণু দাস ও তাঁদের মেয়ে সঙ্গে থাকতেন। গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন গঙ্গা। কোনও সুযোগ হয়নি ডাক্তার দেখানোর বা শুশ্রূষার। এরপর বুধবার রাত ১টা নাগাদ তিনি মারা যান।
পথচারীরা অনেকেই দেখতে পান তাকে পড়ে থাকতে, কিন্তু অভিযোগ, সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি কেউ। এমনকি পুলিশও যথাযথ সময়ে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। এর পরে কালীঘাট থানার পুলিশের একটি শববাহী গাড়ি নিয়ে এসে দেহটিকে তুলে নিয়ে যায় বেলা ১১টা নাগাদ। গঙ্গা দাসের স্ত্রী রেণু দাস জানিয়েছেন, গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু হয় স্বামীর। তবে তিনি নিশ্চিত নন করোনা হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে । অভিযোগ উঠেছে, মৃত্যুর পরেও কোনও পরীক্ষা করা হয়নি বা মানা হয়নি কোভিড প্রোটোকলও।