চোপড়ার মহিলারা স্বনির্ভর হচ্ছেন মাশরুম দিয়ে আচার-পাঁপড় তৈরি করে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার মাশরুম চাষিরা বিশেষ সাফল্য পেল বিশেষজ্ঞদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম থেকে আচার, পাঁপড়, বড়ি সহ ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের নানা খাবারের জিনিস উৎপাদন করে। মূলত এই মাশরুম চাষই হল গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর হয়ে ওঠার অন্যতম প্রধান মাধ্যম । কিন্তু তাঁরা কিছুটা সমস্যার মুখে পড়েছেন লকডাউনের জেরে উৎপাদিত মাশরুম বাজারে বিক্রি করতে না পারায়। তাই তাঁরা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন মাশরুম দিয়ে তৈরি আচার, পাঁপড়, বড়ি প্যাকেটজাত করে৷
সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামের মহিলারা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন চোপড়ায় অবস্থিত উত্তর দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ধন্দুগছ মাশরুম কৃষি প্রদর্শনী ক্ষেত্র থেকে৷ তাঁরা মাশরুম উৎপাদন করছেন সেই প্রশিক্ষণের পর থেকেই৷ এইসব মাশরুম চাষিদের মূল বাজারটাই নির্ভর করে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও পানিট্যাঙ্কিতে। কিন্তু সে সব জায়গায় লকডাউনের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় বাইরের বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না তাঁদের উৎপাদিত মাশরুম। এই অবস্থায় তাঁরা আচার, পাঁপড় ও বড়ির মতো নানা স্বাদের খাদ্যসামগ্রী তৈরি করছেন মাশরুম দিয়েই। যা বর্তমানে স্থানীয় বাজারগুলিতে বিক্রি করার পাশাপাশি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে লকডাউন উঠে গেলে বাইরের বাজারে রফতানি করার৷
উত্তর দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ গবেষক অঞ্জলি শর্মা জানিয়েছেন, এলাকার অধিকাংশ মাশরুম চাষি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত । তাঁদের মধ্যে অনেকেই সংসার প্রতিপালন করে থাকেন মাশরুম চাষ করেই ।তারা তাঁদের উৎপাদিত মাশরুম বাইরের বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না লকডাউনের কারণে৷ তাই তাঁরা সেই মাশরুম দিয়ে তৈরি করছেন আচার, পাঁপড় ও বড়ি সহ নানান খাদ্যসামগ্রী৷ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে সেই মাশরুমের আইটেমগুলি প্যাকেটজাত করে। লাভের মুখও দেখছেন এমনকি চোপড়ার মহিলা মাশরুম চাষিরা।