অভিযোগ আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের , নির্বাচন কমিশনের নোটিস প্রিয়ঙ্কা গান্ধী-হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আগামী মাসেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জোর কদমে চলছে প্রচার। আর এই প্রচার পর্বে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন নোটিস পাঠাল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এবং কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে। ছত্তীসগঢ়ের এক জনসভায় ‘সাম্প্রদায়িক বিভেদকামী বিবৃতি’ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁর কাছে সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, রাজস্থানের এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে করা মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে। নির্বাচন কমিশনের মতে, দুজনের বক্তৃতাই আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে। দুজনকেই নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ৩০ অক্টোবর বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
১৮ অক্টোবর, ছত্তীসগঢ়ের কাওয়ার্ধায় এক জনসভা করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার বিধায়ক তথা ভূপেশ বঘেল সরকারের একমাত্র মুসলিম মন্ত্রী মহম্মদ আকবরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, “ভুলে যাবেন না, যদি কোনও স্থানে একজন আকবর আসেন, তিনি আরও ১০০ আকবরকে ডেকে আনেন। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁকে বিদায় করুন। না-হলে মাতা কৌশল্যার ভূমি অপবিত্র হয়ে যাবে।” পরদিনই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হিমন্তবিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে ‘সাম্প্রদায়িক বিভেদকামী বিবৃতি’ দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কংগ্রেসের সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নোটিস পাঠানো হয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে।
অন্যদিকে, ২০ অক্টোবর রাজস্থানের দৌসাতে এক জনসভায় রাজস্থানের দেবনারায়ণে এক মন্দিরে অনুদান দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, “দেবনারায়ণের মন্দিরে মোদীকে একটি খামে অনুদান দিতে দেখেছিলাম আমরা। কিন্তু, খামটি খোলার পর দেখা গিয়েছিল, তাতে মাত্র ২১ টাকা আছে। গোটা দেশে এটাই ঘটছে। বড় বড় ঘোষণা করা হচ্ছে। খাম দেখানো হচ্ছে। কিন্তু, নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে আর কোনও কাজ হয় না।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওই অনুদান দেওয়ার ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছিল। পরে অবশ্য জানা যায়, ভিডিয়োটি ভুয়ো। প্রধানমন্ত্রী খামে করে কোনও অনুদান দেননি। বদলে, বেশ কয়েকটি নোট দানপাত্রে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরই, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার বিরুদ্ধে, বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছিল বিজেপি। তারই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন নোটিস পাঠিয়েছে কংগ্রেস নেত্রীকে।