অমিক্রন আক্রান্তের ৩৭ জন সহযাত্রীর খোঁজ, রাজ্যে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল আরও ১ মাস
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফের অশনি সংকেত বর্ষশেষে ! এবার বাংলায় মিলল ওমিক্রন আক্রান্তের হদিস।এমনকি এ রাজ্যেও আরও ১ মাস বাড়ল কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ। তবে, নবান্ন বড়দিন থেকে নববর্ষ পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করল। ছাড় দেওয়া হল এমনকি রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ বা নাইট কার্ফুতেও।
একরকম আশঙ্কা ছিলই। কয়েকদিন আগে কলকাতা বিমানবন্দরে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল ব্রিটেন ফেরত এক তরুণীর শরীরে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতরের হাতে যে রিপোর্ট আসে, অবশ্য তাতে জানা যায়, তিনি ওমিক্রন আক্রান্ত নন। এদিকে বারাসতে বাংলাদেশ ফেরত এক প্রৌঢ় যখন হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে, তখন মুর্শিদাবাদের ৭ বছরের বালকের শরীরের পাওয়া গেল করোনার নতুন স্টেন।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে, ওই বালকের বাড়ি ফরাক্কার বেনিয়াগ্রামে। সে আবুধাবি থেকে হায়দরাবাদ হয়ে বিমানে কলকাতায় ফেরে। সঙ্গে ছিলেন বাবা-মাও। হায়দরাবাদে যখন প্রথমে করোনা পরীক্ষা হয়, রিপোর্ট পজিটিভ আসে তখনই। এরপর ওই বালকের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়ে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে। স্রেফ আক্রান্তকে আইসোলেশনে পাঠানোই নয়, স্বাস্থ্য দফতরও ফরাক্কা বেনিয়াগ্রামকে ইতিমধ্যেই কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ওমিক্রন আক্রান্ত বালক কাদের সংস্পর্শে এসেছে? বিমানে কারা ছিলেন সহযাত্রী? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার কর্তৃপক্ষ ওই বিমানের ৩৭ জন যাত্রী সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যোগাযাগ করা গিয়েছে ২৭ জনের সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। বাকিরা বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ মণিপুর ও মেঘালয়ের। কারও অবশ্য কোনও উপসর্গ নেই। তবে, সকলকেই অনুরোধ করা হয়েছে আপাতত আইসোলেশনে থাকা ও ৮ দিনে করোনা টেস্ট করিয়ে নেওয়ারও।