আপনার অজান্তেই বিষ মিশছে ফাস্টফুডে ! জেনে নিন সাদা রঙের নুনের মতন দেখতে কি সেই বিষ
বেস্ট কলকাতা নিউজ : প্লেটে ধোঁয়া ওঠা চাউমিন থেকে যে কোনও ফাস্টফুড,আপনি অজান্তেই ক্রমশ খেয়ে যাচ্ছেন মারাত্মক বিষ।আপনারই চোখের আড়ালে এই সাইলেন্ট কিলার মিশছে আপনারই খাবারে।সাদা রঙের নুনের মতন এটা কি জানেন?রোস্তোরাঁর খাবারের স্বাদের আসল রহস্য কী?
সমস্ত ফাস্টফুডে এটি মাস্ট। দামেও কম। রাস্তা থেকে রেস্তোরাঁ, জিভে জল আনা ফাস্টফুড মানেই এটা থাকবেই। খাবারে থাকা নিঃশব্দ ঘাতক আসলে কি? কীভাবে বানানো হয় ? কি থাকেই বা এতে? রোলে কামড় দেওয়ার সঙ্গে এই বিষকে খাচ্ছেন? হ্যাঁ চাইনিজ থেকে যে কোনও ফাস্টফুড। স্বাদ বাড়াচ্ছে আজিনামোটো । হার্ট অ্যাটাকের কারণও হতে পারে যেকোনও সময়!আসলে এই মশলাটি স্বাদে হাল্কা নোনতা ।এটির নিজস্ব সুগন্ধও আছে।আর তাতেই শরীরে বিষ ঢুকছে খাবারের সঙ্গে।একে চাইনিজ সল্টও বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এর আসল নাম হল মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট।
সবসময় ডাক্তাররা বলেন ফাস্টফুড খাবেন না! কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি থাকে এতে? মুলত স্বাদ বাড়ানোর জন্যেই ব্যবহার হয় সাদা রঙের নুন বা চিনির মতো একটি পদার্থ। ফাস্ট ফুডের টানে শিশুদের বায়না লেগেই থাকে।বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, আজিনামোটো বাচ্চাদের শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর ।এমনকি প্রভাব পড়তে পারে হাড়ের গঠনেও ।ছোটদের বিপদের আশঙ্কা অনেক বেশি আজিনামোটো থেকে ।
৪০-এর কোঠায় পা রাখতেই মহিলা বা পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ছে।অফিসের টিফিন ব্রেকে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?বাড়ি থেকে আনা টিফিন বোরিং হয়ে গিয়েছে ।তাই সুযোগ পেয়েই মিক্সড ফ্রায়েড রাইস – চিলি চিকেন বা চিকেন মোমো, বার্গার! রেস্তোরাঁয় বসে চোখ বুজে অর্ডার।এমনকি ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গেও দেদার মিশছে আজিনামোটো । তাই কষ্ট হলেও বাড়ির খাবারই খান।তাতে আপনারই লাভ।
এই মশলা আপনার শরীরে সরাসরি কোথায় আঘাত করছে জানেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আজিনামোটোর প্রভাব সরাসরি পড়ে হার্টে বাড়ে হৃদরোগের আশঙ্কা।ফাস্টফুড খাওয়া বাড়ালে এই বিপদ থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। বুকে ব্যথা শুরু হয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।আজিনামোটো টানা শরীরে যেতে শুরু হলে থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, হাঁপানির মতো রোগও ভোগাতে শুরু হতে পারে। এমনকী ক্যানসারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অনেকেই জানেন না!আসলে আজিনামোটো এই মশলার আসল নাম নয়।আসলে এটি একটি কোম্পানির নাম জাপানের এক সংস্থা প্রথম মোনোসোডিয়াম গ্লুটামেট-কে আজিনামোটো নামে বিক্রি করতে শুরু করে। তখন থেকেই এটি আজিনামটো নামে পরিচিত।