এক মহা জাগ্রত দেবী বাঁটুল বুড়ি, যিনি ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ করে থাকেন অকাতরে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বেলগাছ, কিন্তু তাতে কাঁটা নেই। কয়েক হাত দূরে অর্জুন গাছ। তার গায়ে লেখা বিভিন্ন নাম। ভক্তদের দাবি, প্রিয়জনকে ফিরে পাওয়ার আশায় এই সব নাম গাছের গায়ে লিখেছেন ঘনিষ্ঠরা। এই সব গাছের পিছনে রয়েছে দীর্ঘ অলৌকিক কাহিনি। যেসব কাহিনি সাক্ষ্য দেয়, এখানকার এক মন্দিরের বহুবিধ ঘটনার। যেসব ঘটনা বলে যে এই মন্দিরে দেবী দিনের পর দিন ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ করেন বা করে চলেছেন দেবী। এই দেবী হলেন জয়দুর্গা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে যিনি পরিচিত বাঁটুল বুড়ি নামে।
তিনি স্বয়ম্ভূ, উঠেছেন মাটি ফুঁড়ে। কথিত আছে, সেই সময়ই নাকি পাথরের দেবী বিগ্রহের কপালে ছিল সিঁদুর। স্থানীয় এক বাসিন্দাকে স্বপ্নে নিজের উপস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন। সেই বাসিন্দাই খুঁজে পান দেবীকে। সেসব বহুকাল আগের কথা। আজ দেশ থেকে বিদেশ, বিভিন্ন জায়গায় দেবী বাঁটুলবুড়ির ভক্ত ছড়িয়ে আছে। এই মন্দিরের আরও একটা বিশেষত্ব আছে। তা হল, এখানে দেবীর স্বপ্নে দেওয়া ওষুধ ভক্তদের দেওয়া হয়।
অলৌকিক কাহিনি এই মন্দিরের বিগ্রহের সঙ্গে যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কথিত আছে, এক ভক্ত একবার দেবীর জন্য বেলপাতা তুলছিলেন। সেই ভক্ত ছিলেন অন্ধ। তাঁর হাতে বেলকাঁটা ফুটে গিয়েছিল। তিনি রাগের চোটে দেবীর মাথায় সেই বেলকাঁটা চাপিয়ে দিয়েছিলেন। দেবী সেই ব্যক্তিকে নাকি স্বপ্নাদেশে বলেছিলেন, মাথা থেকে কাঁটা তুলে নিতে। তাহলেই পরদিন থেকে ওই বেলগাছে আর কাঁটা থাকবে না। যথারীতি তাই হয়েছিল। আজও এই মন্দির সংলগ্ন বেলগাছে একটিও কাঁটা নেই। অথচ বেল, বেলপাতা সবই আছে।
ঘাটাল থেকে রাধানগর। সেখান থেকে শ্মশান কুঠিঘাট হয়ে দেবী বাঁটুলবুড়ির মন্দিরে যাওয়া যায়। নাড়াজোল হয়েও বাংলা ঘাটের টোটো ধরে এই মন্দিরে আসা যায়। আবার, রাজনগর থেকে আসা যায় শানাঘাট। সেখান থেকে বাসে চেপে পৌঁছনো যায় দেবী বাঁটুল বুড়ির মন্দিরে। পুরোহিতের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের নম্বর ৯৭৩৫৩৫৩৪৮৮।