গাজলের বিখ্যাত পাট কালীপুজোর নাম এখন মানুষের মুখে মুখে
নিজস্ব সংবাদদাতা : গাজোলে বিখ্যাত পাট কালীপুজো ও বিশেষ যজ্ঞানুষ্ঠানে মেতে উঠলেন গাজোলবাসী। মাঘীপূর্ণিমা তিথি শেষ হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় প্রতিপদ তিথি। তারপরেই শুরু হয় ধাওয়েল কংসব্রত মেলা। এই যজ্ঞানুষ্ঠানের মাধ্যমেই পরের বছর কী চাষ হবে, সেসব স্থির করা হয়।প্রথা অনুযায়ী, যজ্ঞ কুণ্ডের মাঝে একটি মাটির পাত্রে রাখা হয় বালি। তার উপর বসানো হয় আর একটি মাটির হাঁড়ি। এই হাঁড়িতে দেওয়া হয় পাঁচ অথবা সাত কিলো সর্ষের তেল। যজ্ঞ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কুণ্ড থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় সেই বিশেষ মাটির পাত্রটি। আগুনের উত্তাপে দারুণ গরম থাকে বালি ভর্তি মাটির পাত্র। ওই অবস্থাতেই বালির উপর রাখা হয় বিভিন্ন ধরনের শস্যের বীজ। অন্য বীজ পুড়ে গেলেও প্রায় অক্ষত থাকে এক বা দুই ধরনের বীজ। সেই পাত্র দেখে নির্ধারণ করা হয় কোন ফসলের দাম এবছর বেশি পাওয়া যাবে। পুড়ে যাওয়া ফসলেরই চাষ করেন কৃষকরা।

প্রায় একমাস ধরে চলা এই মেলা দোল পুর্ণিমার আগের দিন ভাঙতে শুরু করে। মেলায় আগে তাঁবু পড়ত সার্কাসের। তৈরি হত অস্থায়ী সিনেমা হল। এছাড়াও থাকত মনোরঞ্জনের সামগ্রী। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ সারা বছরের মশলাপাতি থেকে শুরু করে জামাকাপড় সমস্ত কিছুই কিনতেন এই মেলা থেকে। এখন মেলার জৌলুস অনেকটা কমলেও মিষ্টির দোকানগুলি চলে রমরমিয়ে। সব মিলিয়ে পাট কালী পুজোতে এই সময় মেলা থেকে অনেকটাই উপকৃত হন মানুষ।