চরম চাকরি জট এই আইনজীবী বাম নেতার অহেতুক মামলার কারণেই, এমনটাই দাবি SLST চাকরিপ্রার্থীদের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করলেন শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল রবিবার তৃণমূল ভবনে কুণালের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। প্রায় ২৫ মিনিটের কাছাকাছি কথা হয় তাঁদের। চাকরিপ্রার্থীরা মূলত অভিযোগ করেন, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের আচমকা মামলার কারণে এই চরম দুর্ভোগ তাঁদের।
উল্লেখ্য , ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা পরীক্ষার। ২০১৭ সালে সেই পরীক্ষা হয় এবং ২০১৮ সালে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। তবে সেই সময় ফলাফল নিয়ে আদালতে যান ১২৮০ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী। ২০১৯ সালে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের বেঞ্চে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে মামলাও লড়েন। সেই সময় সংশ্লিষ্ট সিঙ্গল বেঞ্চ মূলত রায় দেয় এই চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে।
এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আরও অভিযোগ, এরপর যখন তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর মুখে, তখন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ফের মামলা করেন । তাঁদের নিয়োগ যখন একরকম পাকা তখন বিকাশ ভট্টাচার্য কেন ফের মামলা করলেন যাঁরা পরীক্ষা দেননি বা অযোগ্য তাঁদের হয়ে, এমনটাই প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের। আবার ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তাঁরা সুপারিশপত্র পেয়ে গেলেও এই মামলার কারণে তাঁদের চাকরি পাওয়া আটকে যায় বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। আর এতেই তাঁরা পড়ে গিয়েছেন চরম সমস্যায়।
প্রসঙ্গত ,আগামিকাল ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যের তরফে হলফনামা চেয়েছেন বিচারপতি। কমিশনের তরফে ইতিমধ্যে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। ৫ ফেব্রুয়ারি হলফনামা জমা দেওয়া হলে ৭ ফেব্রুয়ারি এই চাকরিপ্রার্থীদের যাবতীয় মামলা শুনানি হয়ে যাবে বলে চাকরিপ্রার্থীরা জানান। এক চাকরিপ্রার্থী এও বলেন, “বিকাশবাবু সবসময় আমাদের পক্ষে ছিলেন। ২০১৯ সালে উনিই প্রমাণ করেছিলেন আমাদের প্যানেলটা বৈধ। কিন্তু এখন তাঁর প্রতি আমাদের প্রশ্ন, যখন বৈধ প্যানেল থেকে আমরা চাকরি পাচ্ছি, সেই সময় আপনি কী বলতে চাইছেন প্যানেলের বাইরের প্রার্থীদের নিয়ে এসে ? বিকাশবাবু আপনার উদ্দেশ্যটা ঠিক কী? এসএসসিতে একজন চাকরি পেতে পারেন লিখিত ও ভাইভার পর। যাঁরা সেটা করেননি কীভাবে তাঁদের পাশ করাবেন?” এ প্রসঙ্গে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এও বলেন, “পরিষ্কার কথা হল আইনি পথে চাকরি হবে। বেআইনি চাকরি বাতিল হবে। আমি সবসময়ই যোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ পাওয়ার জন্য মামলা করেছি। এখনও তাই করছি। যদি কেউ বলে থাকে আমি অযোগ্য প্রার্থীদের মামলা করছি, তাঁরা সত্যের অপলাপ করছেন।