চাকরির বাজারে কলকাতা এগিয়ে রয়েছে ভারতের মধ্যে, এমনকি বেড়েছে কাজের সুযোগ – রিপোর্ট সম্প্রতিক সমীক্ষায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কলকাতায় চাকরির বাজার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে কাজের সুযোগ। এমনই দাবি দেশের শীর্ষস্থানীয় চাকরি ও পেশাদার নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম apna.co-এর। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, apna.co-এর পোর্টালে ২০২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ২৫ হাজার নতুন চাকরি হয়েছে।যা গত ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি।
প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, তাদের পোর্টালে প্রতি ১০ মিনিটে একটি নতুন চাকরি পোস্ট হয়। যেমন টেলিকলিং, বিজনেস ডেভলেপমেন্ট, এইচআর ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, জানুয়ারি থেকে ২০২৩-এর মে পর্যন্ত চাকরির আবেদন করার ক্ষেত্রেও ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। যা অগাস্ট থেকে ডিসেম্বর ২০২২-এর পরিসংখ্যানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, গড়ে প্রতি মিনিটে ৬টি নতুন চাকরির আবেদন জমা পড়ে।
apna.co-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার চাকরির বাজারের এই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জি২০ বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্য সরকার সফলভাবে ১২ মিলিয়ন চাকরি তৈরি করছে। এই দাবির সত্যতা প্ল্যাটফর্মে পোস্ট হওয়া চাকরির সংখ্যায় ৩৩ শতাংশ এবং নিয়োগকর্তার সংখ্যায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে প্রমাণিত।
কলকাতায় দক্ষ পেশাদারদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ছবিটা স্পষ্ট। রিলায়েন্স নিপ্পন, বাজাজ আলিয়াঁজের মতো বড় কোম্পানির পাশাপাশি এসএমবিএস এবং এমএসএমইএস-ও সক্রিয় ভাবে এই অঞ্চলের সেরা প্রতিভাদের খোঁজ করছে। যা শীর্ষস্থানীয় নিয়োগকর্তাদের আকর্ষণ করার নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মের ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে।
apna.co-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নির্মিত পারেখ বলেন, ‘কলকাতার চাকরির বাজারের এই বৃদ্ধি শহরের শক্তিশালী অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রমাণ। আমরা চাকরির বাজারে ধারাবাহিক বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছি। ব্যবসায়িকদের নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সহায়তা করাই আমাদের অঙ্গীকার। শিক্ষিত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাকরির নতুন নতুন ক্ষেত্রও খুলে যাচ্ছে। তাই নিয়োগকর্তা এবং চাকরিপ্রার্থীদের সামনে সমান সুযোগ এনে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
চাকরি এবং নিয়োগকর্তাদের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। apna.co-এর হিসেব অনুযায়ী, তাদের প্ল্যাটফর্মে ২.২৫ লাখ চাকরিপ্রার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। ২০২২-এর অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের তুলনায় যা ৫৬ শতাংশ বেশি। প্রতি মিনিটে ৬টি নতুন চাকরির আবেদন জমা পড়ছে। কয়েক মাসে জমা পড়েছে ৯.৫ লাখ আবেদন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই আবেদনগুলির মধ্যে ৪ লক্ষ মহিলা চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন। এঁরা এইচআর, অ্যাকাউন্টস, স্বাস্থ্যসেবা, বিজনেস ডেভলেপমেন্ট পদে আবেদন করেছেন। চাকরির বাজারে এ হেন লিঙ্গসাম্য ইতিবাচক প্রবণতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অনেকে।