জেল থেকে কেজরীর দ্বিতীয় নির্দেশিকা সরকার পরিচালনার জন্য , কী নির্দেশ দিলেন তিনি? একবার দেখে নিন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : জল দফতরের পর এবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রতি নির্দেশিকা। মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতি বিশেষ নির্দেশিকা পাঠালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সরকারি কাজকর্মের বিষয়ে জেল থেকে এটা কেজরীবালের দ্বিতীয় বার্তা। জেলে বসেই অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার চালাবেন বলে তাঁর গ্রেফতারির পরই বার্তা দিয়েছিলেন দিল্লি মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য আতিশি। তারপর গত রবিবার জেলে বলে জল দফতর নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করেন কেজরীবাল। যা নিয়ে জোর জলঘোলা শুরু হয়েছে। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন সরকার চালানোর বিষয়ে এভাবে নির্দেশিকা পাঠানো যায় কি না, কীভাবে তিনি বার্তা পাঠালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই বিতর্কের আবহে এদিন ফের সরকারি নির্দেশিকা পাঠালেন অরবিন্দ কেজরীবাল।
এদিন অরবিন্দ কেজরীবাল তাঁর নির্দেশিকা স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজের কাছে পাঠিয়েছেন। মূলত, সরকার পরিচালিত মহল্লা ক্লিনিকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া এবং প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা সম্পর্কিত নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন তিনি। জেলবন্দি মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তা শেয়ার করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ জানান, মুখ্যমন্ত্রী গরাদের পিছনে থাকলেও দিল্লিবাসীর যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে চান তিনি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে অরবিন্দ কেজরীবালের নির্দেশিকা পড়ে শোনান সৌরভ ভরদ্বাজ। নির্দেশিকায় মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল জানিয়েছেন, “তিনি ভিতরে বা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন, যখনই কেউ ওষুধ নিতে সরকারি হাসপাতালে যায়, তখনই তাঁর সেই সুবিধা পাওয়া উচিত। একজন মধ্যবিত্ত ব্যক্তি ওষুধ কিনতে পারেন, কিন্তু দিল্লির লক্ষাধিক অবহেলিত পরিবার সম্পূর্ণরূপে ওষুধের জন্য সরকারি হাসপাতাল এবং মহল্লা ক্লিনিকের উপর নির্ভরশীল।”
ওষুধ নেওয়া ছাড়া অনেক লোক নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার জন্য দিল্লি সরকারের মহল্লা ক্লিনিকের উপর নির্ভরশীল। তাই সেখানে বিনামূল্যে পরীক্ষা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান সৌরভ ভরদ্বাজ। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাঁর (কেজরীবালের) নির্দেশ আমাদের কাছে ঈশ্বরের আদেশের মতো। আমরা সেটা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পালন করব।” এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে দিল্লিবাসীর উদ্দেশ্যে সৌরভ ভরদ্বাজ আরও জানান, অরবিন্দ কেজরীবাল জেলে আছেন, কিন্তু তিনি প্রতি মুহূর্তে দিল্লির বাসিন্দাদের কথা ভাবছেন। তাঁর একমাত্র উদ্বেগ হল যে, তাঁর অনুপস্থিতিতে কোনও পরিষেবা বিঘ্নিত না হয়।