ডিভিশন বেঞ্চেও জোর ধাক্কা রাজ্যের, অবশেষে খারিজ হল চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর বদলির নির্দেশ

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর পোস্টিং সংক্রান্ত মামলায় একক বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর অনিকেত মাহাতোকে আরজি কর হাসপাতাল থেকে রায়গঞ্জে বদলি করেছিল ৷ দুর্গাপুজোর ঠিক আগে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারের এই নির্দেশ খারিজ করে অবিলম্বে তাঁকে আবারও আরজি কর হাসপাতালে নিযুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে রাজ্য ৷ রাজ্যের সেই আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷গত ২৪ সেপ্টেম্বর এই মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, যথাযথ পদ্ধতি (এসওপি) মেনে চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোকে বদলি করা হয়নি ৷ এই যুক্তিতে অনিকেত মাহাতোকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে পোস্টিং দেওয়া সংক্রান্ত স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ খারিজ করে দেয় আদালত ৷ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ, অবিলম্বে অনিকেত মাহাতোকে আরজি কর হাসপাতালেই পোস্টিং দিতে হবে ৷

ওইদিন আদালতের নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পর জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, “যেদিন এই বদলির নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়, সেদিনই আমরা স্বাস্থ্য সচিবকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ৮৭১ জনের মধ্যে শুধু ২ জনকে কেন বদলি করা হচ্ছে ৷ কীসের ভিত্তিতে এই বদলি ? আমাদের মনে হচ্ছে, এখানে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে ৷ সেদিন তিনি আমায় বলেছিলেন, আমরা রাজ্য প্রশাসন ৷ যা মনে করব সেটাই করতে পারি ৷” এই জুনিয়র চিকিৎসক আরও বলেন, “চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের আইনি লড়াইয়ে আসা ৷ আজ বিচারপতি তাঁর রায়ের মধ্যে দিয়ে আমাদের দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন ৷ তিনিও প্রশ্ন করেছেন, ৮৭১ জনের মধ্যে এই দু’জনকে কেন সরানো হল ? এর নিয়ম বা উদ্দেশ্য কী ? রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল থেকে শুরু অন্য আইনজীবীরা এর কোনও যথাযথ কারণ দর্শাতে পারেননি ৷” এরপরই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য ৷

চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে আরজি কর আন্দোলনের প্রথম সারির তিন চিকিৎসক দেবাশিস হালদার, আসফাকুল্লা নাইয়া ও অনিকেত মাহাতোকে জেলার হাসপাতালে বদলির নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর ৷ এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ তিন জন ৷ যদিও জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার, আসফাকুল্লা নাইয়া নির্দেশ মতো জেলার হাসপাতালে কাজে যোগ দেন ৷ কিন্তু অনিকেত মাহাতো কাজে যোগ দেননি ৷ ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফোরামের তরফে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার এই বদলিকে প্রতিহিংসাপরায়ণতা বলে উল্লেখ করেন ৷ এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান ৷ এবার সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল রাজ্য প্রশাসন ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *