তীব্র প্রতিবাদ সাংসদ বহিষ্কারের , অবশেষে বিরোধী ‘ইণ্ডিয়া জোট’ তুমুল বিক্ষোভে সামিল হল যন্তর-মন্তরে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন ১৪৩ জন সাংসদকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুক্রবার যন্তর মন্তরে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সব বিরোধী দলের নেতারা। শরদ পাওয়ার থেকে শুরু করে, মনোজ ঝা, সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ ইণ্ডিয়া জোটের শরিকরা বিক্ষোভে সামিল হন। পাশাপাশি সাসপেন্ডেড সাংসদরাও বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন, বিপুল সংখ্যক সাংসদের বরখাস্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিলেন, এই ঘটনা গণতনন্ত্রের ওপর সরাসরি আক্রমণ। তিনি বলেন, পাঁচ-ছয়জন সাংসদকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনা সংসদে প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু প্রায় ১৫০ সাংসদকে বরখাস্ত করা গণতন্ত্র নয়। এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই বার্তাটি মানুষের কাছে পৌঁছানো উচিত। সব বিরোধী সাংসদকে বরখাস্ত করলে সংসদ চলবে কী করে?…
এদিকে কংগ্রেস সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেন সংসদ থেকে সাংসদের বরখাস্তের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। হুসেইন বলেন, ‘সংসদ পরিচালনার কোনো অধিকার সরকারের নেই। এই সরকার সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক। দিল্লির যন্তর মন্তরে সাংসদদের বরখাস্তের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভে উপস্থিত কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র বাঁচাতে সমস্ত জাতীয়তাবাদী সংগঠনকে একত্রিত হয়ে এক কণ্ঠে বার্তা দিতে হবে।’ বিপুল সংখ্যক সাংসদের বরখাস্তের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভের আগে দিল্লির যন্তর মন্তরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বৃহস্পতিবার সংসদ থেকে বিরোধী সাংসদের ব্যাপক স্থগিতাদেশ নিয়ে কেন্দ্রেকে সরাসরি নিশানা করেন।
কংগ্রেস নেতা ১৩ ডিসেম্বরের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে বিরোধী সাংসদদের বরখাস্তের প্রতিবাদে সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত স্থগিত একটি পদযাত্রার অংশ ছিলেন। ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, ১৪৩ জন সাংসদকে উভয় কক্ষ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর সব দল মিলে ২২ ডিসেম্বর বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নেয়।