দশম শ্রেণীতে রাজ্যে প্রথম মাথায় ঋণের বোঝা নিয়ে, গোটা দেশ দাঁড়ালো বাবা-মা হারানো বনিশার পাশে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মাথায় ঋণের বোঝা বিপুল অঙ্কের ! এমনকি বাবা-মাকেও হারিয়েছেন করোনায় । এতকিছুর পরেও দশম শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় বনিশা পাঠক ৯৯.৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে সেরা হয় মানসিক দৃঢ়তা এবং নিষ্ঠার জোরে। কোভিড আক্রান্ত বাবা-মাকে হারানোর পরেও ২৯ লক্ষ টাকা শোধ করার নোটিস ধরানো হয়েছিল দশম শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম হওয়া বনিশা পাঠককে।মধ্যপ্রদেশ সরকার থেকে শুরু করে একাধিক বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যক্তির তরফ থেকে বনিশার পাশে এসে দাঁড়ানোর আশ্বাস মিলেছে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই ।
১৭ বছরের বনিশা স্বস্তি পায়নি কোভিদের কারণে বাবা-মাকে হারিয়ে এত ভাল রেজাল্ট করেও । বনিশার বাবা এলআইসি এজেন্ট ছিলেন। তিনি এলআইসি থেকেই গৃহঋণ নেন ঘর তৈরির জন্য । কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর বনিশার সামর্থ ছিল না এই ঋণ শোধ করার। সম্প্রতি সেই ঋণ মেটানোর জন্য এলআইসি-র তরফ থেকে বনিশাকে নোটিস পাঠানো হয়। বনিশা জানিয়েছিল, তার পক্ষে এখন এই ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। তবে এর পরও তাকে একাধিক নোটিস পাঠানো হয়।
LIC-এর ডেভেলপমেন্ট অফিসার সঞ্জয় বার্নওয়াল জানিয়েছেন, বনিশা এই নোটিশটি পেয়েছিলেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তাদের নজরে আসার সাথে সাথে এ বিষয়ে জানানো হয় এলআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এবং নোটিশটি ব্লক করা হয়। তিনি আর নোটিশ পাবেন না প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত। তবে করোনার সময় বাবা-মাকে হারানো বনিশা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও কীভাবে শোধ করবেন এত বড় অঙ্কের টাকা,এখন সেটাই বড় প্রশ্ন।
বনিশা পাঠক ভোপালে থাকেন এবং করোনার কারণে তার বাবা-মাকে হারানো সত্ত্বেও,১০ শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন ৯৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে । মা-বাবাকে হারিয়ে মামা ও তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন বনিশা ও তার ছোট ভাই। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর বনিশা সরকারের কাছ থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। এছাড়া ভাই-বোন উভয়েই প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা পান শিবরাজ সরকারের কাছ থেকে।