ফের ছ্যাঁকা জ্বালানির মূল্যে ! আরও বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, কলকাতায় আজ দাম কত ? জেনে নিন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : জ্বালানির দাম ক্রমশ সীমা ছাড়াচ্ছে। পেট্রোল, ডিজেলের দাম ক্রমশ বাড়ছেই এক-দু’দিন অন্তর।ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে জ্বালানির দাম। এমনকি কেউ জানেন না দামের এই ঊর্ধ্বগতির শেষ কোথায়। দফায় দফায় দাম বাড়ছে পেট্রোল, ডিজেলের। দাম বাড়ছে এমনকি ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা পর পরই। জ্বালানির এই বর্ধিত দামের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া দেশবাসীর কাছে এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার আবহে। দেশবাসী যেন ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন।এমনকি বাজার অর্থনীতিতেও প্রবল চাপ পড়ছে জ্বালানির দাম বাড়ায় । সব জিনিসের দাম আগুন। পরিস্থিতির সংঘে পাল্লা দিতে গিয়ে আম জনতার স্নায়ুর উপরেও চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
অর্থনীতির মূল ভিতই হল ডিজেল ভিত্তিক পরিবহণ ব্যবস্থাই। পণ্য পরিবহণ, যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে ডিজেলই মূল ভরসা । দেশে ডিজেলের দাম বাড়ায় বাজার অর্থনীতিও প্রবল চাপে। এমনকি আকাশছোঁয়া হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এদিকে সরকারের তরফেও নেই সমস্যা সুরাহার কোনও দিশাই। এখন পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১০৮ টাকা এবং ডিজেলের দাম ১০১ টাকা প্রতি লিটার দেশের অনেক শহরেই।
১. রাজধানী দিল্লিতে আজ, মঙ্গলবার লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়েছে ২৮ পয়সা এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৬ পয়সা । দিল্লিতে পেট্রোলের দাম আজ ৯৭.৫০ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেল ৮৮.২৩ টাকা ।
২. মুম্বইয়ে পেট্রোলের দাম ১০৩.৬৩ টাকা এবং ডিজেল ৯৫.৭২ টাকা ।
৩. পটনায় পেট্রোল ৯৯.৫৫ টাকা এবং ডিজেল ৯৩.৫৬ টাকা প্রতি লিটার ।
৪. রাঁচিতে ডিজেল ৯৩.১৩ টাকা এবং পেট্রোল ৯৩.৩৫ টাকা ।
৫. লখনউতে পেট্রোল ৯৪.৭০ টাকা এবং ডিজেল ৮৮.৬৪ টাকা ।
৬. বেঙ্গালুরুতে পেট্রোল ১০০.৭৬ টাকা এবং ডিজেল ৯৩.৫৪ টাকা প্রতি লিটার ।
৭. কলকাতায় পেট্রোলের দাম ৯৭.৩৮ টাকা এবং ডিজেল ৯১.০৮ টাকা ।
৮. জয়পুরে পেট্রোলের দাম ১০৪.১৭ টাকা এবং ডিজেল ৯৭.২৭ টাকা প্রতি লিটার ।
৯. চেন্নাইয়ে পেট্রোল ৯৮.৬৫ টাকা এবং ডিজেল ৯২.৮৩ টাকা প্রতি লিটার ।
এই নিয়ে পেট্রোল ডিজেলের দাম ১২ বার বাড়ল শুধু চলতি মাসেই। মে মাসে ১৬ বার দাম বেড়েছিল। দফায় দফায় দাম বেড়েছে ৪ মে থেকে। দেশের চারটি বড় শহরের মধ্যে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১০০ টাকা পেরিয়েছে মুম্বইয়ে। পেট্রোলের দাম ১০০ ছাড়িয়েছে এমনকি দেশের ৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও। সব মহলই দামবৃদ্ধির নিন্দা করছে। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি দাম নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও ইঙ্গিতই এখনও পর্যন্ত দেয়নি। উচ্চবাচ্য করছে না এমনকি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকও। সাধারণ মানুষের ভরসা শুধু সরকারের ‘লোক দেখানো উদ্বেগ’ এর উপর।