ফের বাংলা যোগ সংসদকাণ্ডে, কোনো ভাবে চিনতাম না ললিতকে’ , জানালেন সাম্যবাদী সুভাষ সভার কালচারাল সেক্রেটারি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সংসদকাণ্ডে ফের বাংলা যোগ। ফেসবুকে সাম্যবাদী সুভাষ সভার পোস্ট নিয়ে আলোচনা। এদিকে এরইমধ্যে রাজস্থান থেকে উদ্ধার হয়েছে ঘটনার মূলচক্রী হিসাবে চিহ্নিত ললিতের সঙ্গীদের পোড়া মোবাইল। তারমধ্যে খোঁজ মিলেছে সাম্যবাদী সুভাষ সভার কালচারাল সেক্রেটারির। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে পড়েন ওই ছাত্র। তাঁকে নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন চর্চা। এতেই সংসদ ধোঁয়া কাণ্ডে বাংলা যোগ আরও স্পষ্ট হল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। ওই ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেছে টিভি-৯ বাংলা। সেখানে তাঁর স্পষ্ট দাবি, তিনি বর্তমানে গ্রুপের খুব একটা অ্যাক্টিভ মেম্বার নন। ললিত ঝাঁ কে চিনতেন না বলেও দাবি করেছেন তিনি।
সাফ জানিয়েছেন ফেসবুক থেকেই পরিচয় হয়েছিল ওই গ্রুপের সঙ্গে। কিন্তু, একই গ্রুপের কালচারাল সেক্রেটারি হয়েও কিভাবে সেক্রেটারি কে চেনেন না তিনি? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে সংসদকাণ্ডে ধৃত ললিতের বাংলার সঙ্গে যে দীর্ঘদিন থেকেই যোগাযোগ রয়েছে তা বোঝা গিয়েছে আগেই। খাস কলকাতায় মিলেছে তাঁর ভাড়া বাড়ির খোঁজ। খোঁজ মিলেছে একাধিক ডেরার। একইসঙ্গে খোঁজ মিলেছে নীলাক্ষ আইচের। তাঁর সঙ্গে পরিচয় ছিল ললিতের। সূত্রের খবর, এই নীলাক্ষকেই সংসদের ভিডিয়ো পাঠিয়েছিলেন ললিত। এবার সাম্যবাদী সুভাষ সভার খোঁজ মেলাতে তা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই সাম্যবাদী সুভাষ সভা মূলত সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। একাধিক জেলাতেও এই সংগঠনের কর্মীরা কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। এই সংগঠনের মাধ্যমেই নীলক্ষ আইচের সঙ্গে ললিতের যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। এই সভার জেনারেল সেক্রেটারি সুভাষ ঝা। তাঁকে কিন্তু চিনতে অস্বীকার করছেন প্রেসিডেন্সির ইতিহাস বিভাগের ওই ছাত্র। তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
প্রেসিডেন্সির ওই ছাত্র বলছেন, “আমার সঙ্গে ললিতের কোনওদিন দেখা হয়নি, কথা হয়নি। আমার কাজটা ছিল পুরোপুরি ম্যাগাজিনের। লেখা আর আর্টিকেল আনাই আমার মূল কাজ ছিল। সে কারণে আমার কোনওদিন দেখা হয়নি। ও কী করে, কী করত আমি কিছুই জানতাম না। আমি মালদাতে থাকি, ও কলকাতা না কোথায় থাকে জানতাম না। আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে থেকে থাকলে থাকতে পারে। আমি নম্বর সেভ করিনি।”