বাংলার ‘চপ শিল্প” উঠে এল এক গবেষণায় , ব্যাপক শোরগোল মালদার ছাত্রীর কাণ্ডে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে গবেষণা চপ শিল্প নিয়ে !ইতিমধ্যেই বঙ্গ রাজনীতি উত্তাল নজরকাড়া গবেষণার বিষয় নিয়ে । মালদার এক ছাত্রী চপ শিল্প নিয়েই গবেষণা করছেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে । মাননীয়ার চপশিল্প উঠে এসেছে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোলের ছাত্রী কনা সরকারের গবেষণা পত্রের বিষয় হিসাবে। অনেকেই তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিতর্কও শুরু হয়েছে গবেষণা পত্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে থাকায়।
চপ শিল্প সংক্রান্ত বিষয় দেখা গেল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ তাপস পালের অধীনে স্নতোকোত্তর স্তরের চতুর্থ সেমিষ্টারের গবেষণা পত্রে । বেশ চমকপ্রদ যার শিরোনামটিও। শিরোনামে লেখা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপ শিল্প ধারনায় অনুপ্রাণিত হয়ে গবেষণায় চপ শিল্প। আর তাতেই পড়ে গিয়েছে ব্যাপক শোরগোল।
যদিও এমন বিষয়ে ওঠা বিতর্ক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ তাপস পাল মাথা ঘামাতে রাজি নন । তাঁর সাফ যুক্তি করোনার পর একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছে দেশের অর্থনীতি, ক্রমশ বেড়েছে বেকারত্ব। মাননীয়া আগেই চপ শিল্পের কথা বলেছেন । গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে শহরতলী অনেকেই প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত এই শিল্পের সঙ্গে । ভৌগলিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ফোকাস করাই এই গবেষণার উদ্দেশ্য বলেও জানান তাপস বাবু।
তবে শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সকলেও আপত্তি জানিয়েছেন গবেষণা পত্রে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নাম তুলে ধরায় । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে চপশিল্পের কথা নতুন নয় তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে কম হয়নি বিতর্কও। তবে চপশিল্প যে গ্রামীণ অর্থনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে সেটাই স্থান পেয়েছে কণা সরকারের গবেষণা পত্রে।