মাকে কুড়ি এবং ছেলেকে পাঁচবার আঘাত,বেহালার ঘটনায় উঠে এল ব্যক্তিগত আক্রোশের তত্ত্বই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে ব্যক্তিগত আক্রশের তত্ত্বই উঠে এল বেহালায় জোড়া খুন কাণ্ডে৷ পুলিশ জানায়, পাওয়া গিয়েছে মায়ের শরীরে কুড়িবার এবং ছেলের শরীরে পাঁচবার আঘাতের চিহ্নও৷ তবে তদন্তকারীরা জানান সুস্মিতা আততায়ীর হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন বলেও৷ পাশাপাশি ব্যাপক অসঙ্গতি পাওয়া যাচ্ছে মৃতের স্বামী তপন মণ্ডলের কথায়৷ বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে এমনকি তাঁর দেওয়া বয়ানের পর৷
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের প্রাথমিক অনুমান ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলেই ৷ সুস্মিতা বাঁচার চেষ্টা করেন এমনকি আততায়ীর হাত থেকে৷ আততায়ীর নখের চিহ্নও মিলেছে এমনকি দু’জনের দেহেই । ময়নাতদন্তের পর জানা গেছে কুড়িটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে সুস্মিতার শরীরে এবং ছেলে তমোজিতের শরীরে রয়েছে পাঁচটি আঘাতের চিহ্ন। ভারীর আঘাতের চিহ্ন মিলেছে মাথা, বুক, পেট এবং হাতে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ভাত পাওয়া গিয়েছে তাদের পাকস্থলীতে। জানা গিয়েছে মৃত্যুর দু’ঘণ্টা আগে মা-ছেলে ভাত খেয়েছিল বলেই।
এদিকে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার স্বামী তপন মণ্ডল ঘটনার দিন সকাল ১ ১ টা থেকে বিকাল ৪ টে পর্যন্ত বন্ধ রেখেছিলেন তাঁর ফোন। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, কী কারণে তাঁর ফোন বন্ধ ছিল । এই প্রশ্নের উত্তরে তপন মণ্ডল গোয়েন্দাদের জানান, তিনি খিদিরপুরে গিয়েছিলেন তাঁর ক্লায়েন্টের কাছে । কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রের খবর তপনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মিলছে না তাঁর ফোনের ট্যাওয়ার লোকেশনও । এখানেই গোয়েন্দাদের কাছে একটি মিসিংলিংক তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য , সোমবার রাত আটটা নাগাদ ফ্ল্যাটে ফিরে আঁতকে ওঠেন পেশায় বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্মী তপন মণ্ডল।ফ্ল্যাটের দুটি ঘরে পড়ে ছিল ছেলে তমজিত্(১৩) ও স্ত্রী সুস্মিতার(৪৫) রক্তাক্ত দেহ । খোলা ছিল এমনকি ফ্ল্যাটের দরজাও। তপন মণ্ডল দাবি করেছিলেন অল্প ঠেলতেই সেই দরজা খুলে যায় বলেও। একটি ঘরে পড়ে রয়েছে স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী সুস্মিতার দেহ এবং আর একটি ঘরে পড়ে রয়েছে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলে তমজিত্ এর দেহ৷ গোটা ঘটনা কখন-কীভাবে ঘটল তা টেরই পাননি এমনকি প্রতিবেশীরাও ৷ খবর পেয়ে পুলিশ আসে তৎক্ষণাৎ৷ পুলিশ তখনই অনুমান করে, মা-ছেলে খুন হয়েছেন পরিচিত কারোর হাতেই৷