মাদ্রাজ হাইকোর্ট ‘খাঁচাবন্দি পাখি’ বলে আখ্যা দিল সিবিআইকে, মুক্ত করার নির্দেশ অবিলম্বে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মূলত নিরপেক্ষভাবেই কাজ করা উচিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে নতুন নয় পক্ষপাতের অভিযোগ। বিরোধীরা বরাবরই বলে এসেছে সিবিআই কাজ করে শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকারের অঙ্গুলি হেলনেই। এবার অবশেষে মাদ্রাজ হাইকোর্ট মুখ খুলল সে ব্যাপারেই। মাদ্রাজ হাইকোর্ট সিবিআইকে ‘খাঁচাবন্দি পাখি’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা এও জানিয়েছে এবার সিবিআই এর বেরোনো দরকার খাঁচার বাইরে। মঙ্গলবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট আরও জানিয়েছেন, সিবিআই একটি নিরপেক্ষ সংস্থা যে শুধুমাত্র দায়বদ্ধ ভারতের পার্লামেন্টের কাছে। কিন্তু ক্রমশ খর্ব করা হচ্ছে তার স্বাধীনতাকে। যা কোনমতেই চলতে দেওয়া যাবে না।
মাদ্রাজ হাইকোর্ট আরও বলেছে,যে স্বাধীনতা থাকা দরকার দেশের নিয়ন্ত্রক (কম্পট্রোলার) এবং অডিটর জেনারেলের , ঠিক তেমনটাই থাকা দরকার সিবিআইয়েরও। এ ব্যাপারে হাইকোর্ট একটি নন নির্দেশিকা জারি করেছে। যাতে বলা হয়েছে, এই অর্ডার জারি করা হচ্ছে ‘খাঁচাবন্দি পাখিকে মুক্ত করতেই।’ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ তারা গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগায় বিরোধীদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে। সিবিআই কাজ করে কেন্দ্রের কথাতেই। বিশেষ করে এই অভিযোগ তো অনবরত তোলা হয় পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের তরফে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার সিবিআইকে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘কনস্পিরেসি ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’, যা নিয়ন্ত্রিত হয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা।
উল্লেখ্য ,এর আগে ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টও অনুরূপ বিশেষণ দিয়েছিল সিবিআইকে। এমনকি বলা হয়েছিল সিবিআই খাঁচাবন্দি পাখি। বিজেপি সেসময় ছিল বিরোধীর আসনে, আর তাদের তরফে বারবার অভিযোগ করা হত সিবিআই কাজ করছে একমাত্র কংগ্রেস সরকারের হয়েই। এদিন মাদ্রাজ হাইকোর্ট এও বলেছে, কেন্দ্র সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে সিবিআইকে আরও বেশি ক্ষমতা দিয়ে অবিলম্বে একটি আইন আনার জন্য। স্বাধীন করতে হবে সিবিআইকে। যাতে সে পরিচালিত না হয় কারও দ্বারা,তারা যেন নিজের মতো কাজ করতে পারে স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবে।