রাতভর চলল কলকাতায় ফুসফুস প্রতিস্থাপনের অপারেশন, চিকিত্সকেরা দেখতে চান ৭২ ঘণ্টা সময়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে কলকাতায় তৈরি হল ফুসফুস প্রতিস্থাপনের ইতিহাস। পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই কলকাতার মুকুন্দপুরে মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জটিল অস্ত্রোপচার হল গোটা পূর্ব ভারতে এই প্রথম। তবে চিকিত্সকরা প্রতিস্থাপন সফল বলছেন না এখনই। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে রোগীকে। চিকিত্সকদের আরও ভাবাচ্ছে ফাইব্রোসিস। তাঁদের মতে, রক্তক্ষরণের একটা সম্ভাবনা থাকে দীর্ঘদিন একমোয় থাকার ফলে। সেইসঙ্গে তৈরি হয় অন্য কোনও জটিলতাও। তাই চিকিত্সকরা আপাতত নজরে রাখছেন ওই ব্যক্তিকে ।
জানা গেছে সোমবার রাত ১০টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে ব্রেন ডেথ রোগীর ফুসফুস এসে পৌঁছয় সুরাট থেকে। অ্যাম্বুল্যান্স ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা তৈরি ছিল আগে থেকেই।মেডিকায় ফুসফুস নিয়ে যাওয়া হয় গ্রিন করিডর করে। গতকাল অস্ত্রোপচার চলেছে ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। রাজ্যের প্রথম যে ফুসফুস প্রতিস্থাপন হয় ৪৬ বছরের ওই ব্যক্তির দেহে। করোনার পর তিনি ১০৩ দিন ধরে ছিলেন একমো সাপোর্টেও।চিকিত্সক অর্পণ চক্রবর্তী, চিকিত্সক সপ্তর্ষি রায়, চিকিত্সক সৌম্যজিত্ ঘোষ, চিকিত্সক দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় অস্ত্রপচারের দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার কুণাল সরকারের নেতৃত্বে।
ফুসফুস প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া একরকম শেষ। তবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট-সার্জারি পর্যায়টাই। পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার এমনকি রোগীকেও। শরীরে কতটা কার্যকরী হচ্ছে প্রতিস্থাপিত ফুসফুস জরুরি বিষয় হল একমাত্র সেটাই। রোগীর শারীরিক অবস্থা কতটা স্থিতিশীল সে বিষয়ে এখনও কোনও খবর মেলেনি হাসপাতালের তরফে। শুধু জানা গেছে, পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে রোগীকে।